কেশবপুরের ভরত ভায়না মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগে আদালতের কারণ দর্শানো নির্দেশ

0

জয়দেব চক্রবর্ত্তী,কেশবপুর (যশোর)॥ যশোরের কেশবপুরের ভারত ভায়না মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিরপত্তা কর্মী পদে নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধসহ নিরাপত্তা কর্মী পদপ্রার্থীকে মারপিট করে নিয়োগ বোর্ডে হাজির হতে না দিয়ে নিয়োগ কার্যক্রমে পছন্দের প্রার্থীকে নিযোগ দেয়ার প্রচেষ্টার ঘটনায় যশোর কেশবপুর সহকারী জজ আদালতে মামলা করেছেন নিয়োগ প্রার্থী মো. সালাহ উদ্দিন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে প্রধান শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টদের ১০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলেছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভরতভায়না গ্রামের সিদ্দিক সানার ছেলে ভরতভায়না মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহসান হাবিবসহ সংশিষ্টদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ ও তাকে মারপিটের মাধ্যমে নিয়োগ বোর্ডে হাজির হতে না দেয়ার ঘটনায় মামলা করেন যার নং১৮৬/২০ তারিখ ০৯/১২/২০ ইং। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিদ্যালয়টিতে ২০১৮ সালের জনবল কাঠামো অনুযায়ী নব সৃষ্ট শুণ্য পদে গত ২৬ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে মামরার বাদী সালাহ উদ্দিনগত ৩০ অক্টোবর ৫০০ টাকার পোষ্টাল অর্ডার ও প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রসহ প্রধান শিক্ষকের নিকট আবেদন পত্র জমা দেন। যার প্রাপ্তি স্বীকার পর্যন্ত রয়েছে। এর পর থেকে প্রধান শিক্ষকের নিকট নিয়োগের পরীক্ষা সংক্রান্ত তথ্যাদি জানতে চাইলে তিনি তা গোপন করে রাখেন। গত ২ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৯ টার দিকে বাদী সাইকেল যোগে ভরতভায়না বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে বিবাদিরাসহ বাসার সরদার, গফুর সরদার, আব্দুল কুদ্দুস সরদার ও আসাদুল সরদার সালাহ উদ্দিনের পথরোধ করে এবং রাস্তার পাশে বাগানে নিয়ে যায়। এ সময় তারা জানান, চাকরি বাবদ দেয়া ৩ লাখ টাকা পরবর্তীতে ফেরত দেয়া হবে জানিয়ে বলেন, নিয়োগ বোর্ডে হাজির হলে চরম মূল্য দিতে হবে। এ সময় তারা তার হাত মুখ বেধে পকেটে থাকা মাছ বিক্রির ২৫ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন সেট ছিনিয়ে নেয় এবং মারপিট করে ও রাস্তার পাশের বাগানে ফেলে রেখে যায়। রাতে বাড়ি ফিরে না যাওয়ায় সালাহ উদ্দিনের পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজ-খবর শেষে তাকে উদ্ধার করে এবং ওই রাতেই কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করে। মামলার আর্জিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, এ পদে অপর প্রার্থী মো. আশিক আরাফাতের নিকট থেকে সংশিষ্টরা অগ্রিম ১০ লাখ টাকা গ্রহণ করে । তাই ওই প্রার্থীকে চাকুরি দেয়ার জন্য বাদী সালাহ উদ্দিনের ২৯ নভেম্বরের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার পত্রে স্বাক্ষর জাল জালিয়াতি করে, ৩ ডিসেম্বর নিয়োগ বোর্ডে অনুপস্থিত রাখেন এবং নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করেন । বাদী সালাহ উদ্দিন আদালতে সাজানো নিয়োগ বোর্ডের সকল কার্যক্রম স্থগিত করার আদেন জানান একই সাথে এই জালজালিয়াতি ও মারপিটের সাথে জড়িত সকলের শাস্তি দাবি করেন। আদালত বিবাদি প্রধান শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে আদালতে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শাতে নির্দেশ দেন।