হাসপাতালে করোনা রোগীর মৃত্যু বেশি

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত এক সপ্তাহে মারা গেছেন ২১৫ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ২১১ জন। অন্য চারজন মারা যান বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে সরবরাহ করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে থেকে জানা যায়- দেশে বাড়িতে চিকিৎসা নেওয়ার চেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগীর মৃত্যু সংখ্যা বেশি। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা প্রত্যেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এর আগের দিন রবিবার সারা দেশে ৩২ জন মারা যান। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩১ জন এবং বাড়িতে একজনের মৃত্যু হয়। শনিবার মারা যান ৩৪ জন তার মধ্যে হাসপাতালে ৩২ জন এবং বাড়িতে দুজন, শুক্রবার যে ১৯ জন মারা যান তারা প্রত্যেকেই ছিলেন। বৃহস্পতিবার ৩৭ জনের মধ্যে ৩৬ জন হাসপাতালে এবং একজন বাড়িতে মারা যান। বুধবার ২৪ জন এবং মঙ্গলবার ৩২ জনের প্রত্যেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন মৃদু সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে কেউ ভর্তি হচ্ছেন না। হাসপাতালে সেসব রোগী আসছেন যাদের সংক্রমণ-লক্ষণ তীব্র। যখন একেবারেই ভর্তি না হলে হচ্ছে না তখন মানুষ ভর্তি হচ্ছে। তত দিনে সংক্রমণ তীব্র হচ্ছে আর করোনায় তীব্র সংক্রমণ থাকলেই মৃত্যুহার বেশি। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭ হাজার ৮৯ জন। এ ছাড়া করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে আরও ১ হাজার ৭৯৯ জনের শরীরে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত হলো ৪ লাখ ৯২ হাজার ৩৩২ জন। এদিন সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৯৪৯ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ২৩ হাজার ৮৪৫ জন। সংস্থার অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১২টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ১৮টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ১০টি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ সর্বমোট ১৪০টি ল্যাবে ১৬ হাজার ৮২৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ২৯ লাখ ৮৬ হাজার ৪৫৮টি নমুনা। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৬৯ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ০৯ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ। সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৩ লাখ ৮৬ হাজার ৭৫৩টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৫ লাখ ৯৯ হাজার ৭০৫টি।গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ২৭ জন পুরুষ আর ১০ জন নারী। এর মধ্যে ২৭ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, আটজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং দুজনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। মৃতদের মধ্যে ২৫ জন ঢাকা বিভাগের, সাতজন চট্টগ্রাম বিভাগের, ১ জন করে মোট ২ জন রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের এবং ৩ জন খুলনা বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।