প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে ৫ লাখ টাকার ফুলকপি

0

মাগুরা সংবাদদাতা॥ চলতি মৌসুমে ফুলকপি চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন মাগুরা জেলার কৃষকরা। প্রতিদিন ভোরে মাগুরার পাইকারি বাজারে দেখা যাচ্ছে ট্রাক ভর্তি ফুলকপি। রাতেই চলে যাচ্ছে ঢাকার কারওয়ান বাজার থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশালসহ দেশের নানা প্রান্তে। ব্যবসায়ীরা বলছেন- দক্ষিণাঞ্চলে শীতের সবজি হিসেবে ফুলকপির গুণাগুণ ভেদে মাগুরা জেলার সুনাম রয়েছে বিগত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে। এ জেলার ফুলকপি স্বাদের দিক দিয়ে এগিয়ে। তাই কদরও বেশি। এজন্য চাহিদাও রয়েছে দেশের নানা অঞ্চলে। শীতের সাধারণত মানুষের মধ্যে নিত্য সবজির পাশাপাশি ফুলকপির দিয়ে রান্না তরকারি বেশ জনপ্রিয়। সারাবছর বিভিন্ন সবজি পাওয়া গেলেও ফুলকপি বাজারে পাওয়া যায় না। এটি প্রতি বছর নভেম্বর থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত বাজারে দেখা যায়। আর এ সময়টা মাগুরার চার উপজেলায় ব্যাপক আকারে ফুলকপি বাজারে আসতে শুরু করে। ডিসেম্বরের আগেই মাগুরার নানাপ্রান্ত থেকে ফুলকপি বাজারে আসতে শুরু করেছে।
মাগুরা সদর উপজেলাসহ, শ্রীপুর, শালিখা ও মহম্মদপুর উপজেলার বেশ কিছু গ্রামে চাষ হয়েছে ফুলকপি। বিশেষ করে মাগুরা- যশোর সড়কের দুপাশে শত শত হেক্টর জমিতে এ চাষ করা হয়েছে। শালিখার কৃষক ওবায়দুল্লাত জানান, শীতের শুরুতে তারা খ্তে থেকে ফুলকপি তুলে পাইকারি বাজারে বিক্রি শুরু করেছেন এবং ভালো দামও পাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন- শীতের সবজির চাহিদা ভালো থাকে তবে অন্যান্য সবজির তুলনায় ফুলকপি খুবই সুস্বাদু ও পুষ্টিকর হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা বেশি থাকে। শালিখা উপজেলার কৃষক নিজাম মোল্যা জানান- এ বছর তিনি প্রায় ৪ একর জমিতে ফুলকপি চাষ করেছেন। তিনি প্রতিবছর বড় আকারে ফুলকপি চাষ করে থাকেন। এবছর তিনি ফুলকপি এ পর্যন্ত প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার ফুলকপি বিক্রি করেছেন। গত বছরে ১২ লাখ টাকার ফুলকপি বিক্রি করলেও এবছর তিনি ১৭ লাখ টাকার ফুলকপি বিক্রি করবেন বলে আশা করছেন।
মাগুরা পাইকারি একতা বাজারের সভাপতি আকরাম মোল্যা জানান- গত বছরের তুলনায় এবার শীতে ফুলকপির সরবরাহ বেশি। গত তিন সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন প্রায় ৩ থেকে ৫ লাখ টাকার ফুলকপি দেশের নানা প্রান্তে বিক্রি হয়েছে। এবার কোটি টাকার ফুলকপি বিক্রি ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন তারা। মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামাণিক বলেন- শীতের সবজি হিসেবে ফুলকপির চাষ লাভজনক হওয়ায় জেলার কৃষকরা এবার ভালো সফলতা পেয়েছেন। তিনি বলেন- জেলায় এবছর ১৩০ হেক্টর জমিতে ফুলকপির চাষ হয়েছে। ইতিমধ্যে এ চাষ সফল করার জন্য কৃষি ব্যাংকসহ অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কৃষকদের মধ্যে প্রয়োজনীয় ঋণ সহায়তা প্রদান করেছে বলেও নিশ্চিত করেছেন এ কৃষি কর্মকর্তা।