নিখোঁজের দু’মাস পর কচুরিপানার নিচে মিলল যুবকের লাশ

0

চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা॥ চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় নিখোঁজের প্রায় দুই মাস পর এক যুবকের গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বাড়ির নিকটবর্তী একটি পুকুরের কচুরিপানার নিচ থেকে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত আলমগীর হোসেন বিশ্বাস আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর গ্রামের কাতব আলী বিশ্বাসের ছেলে। পুলিশ বলছে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা। আলমগীরের পরিবারের অভিযোগ, তার বন্ধু একই গ্রামের শিপন আলী টাকার জন্য তাকে হত্যা করে লাশ গুম করে রাখে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ অক্টোবর রাতে নিখোঁজ হন যুবক আলমগীর হোসেন বিশ্বাস (২৭)। অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে বড় ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন আলমডাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে আলমগীরের বাড়ির নিকটবর্তী উজ্জ্বল মোল্লার পুকুরে মাছ ধরার জন্য কচুরিপানা পরিষ্কার করছিল লোকজন। এ সময় কচুরিপনার নিচে চাপা দিয়ে রাখা আলমগীরের লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়া হয়। আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে যুবক আলমগীর বিশ্বাসের লাশ উদ্ধার করেন।
নিহত আলমগীর বিশ্বাসের প্রতিবেশীরা জানান, আলমগীর বিশ্বাস গরু লালন-পালন এবং মোটাতাজা করে বিক্রি করতেন। এ কারণে সব সময় তার কাছে নগদ টাকা থাকত। অবিবাহিত আলমগীর ১০ অক্টোবর হঠাৎ নিখোঁজ হন। প্রায় দুই মাস পর আজ শুক্রবার সকালে বাড়ির পাশের পুকুরে কচুরিপনা দিয়ে চাপা দেয়া অবস্থায় মিলল তার গলিত লাশ। নিহত আলমগীর হোসেন বিশ্বাসের বড় ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন অভিযোগ করে বলেন, একই গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে শিপন অন্তরঙ্গ বন্ধু ছিল আলমগীরের। আলমগীর নিখোঁজ হওয়ার পরদিন একটি মেয়েকে ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় সে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। সেসময় তার কাছ থেকে নগদ ৫৬ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। আমাদের ধারণা আলমগীরের টাকাগুলো হাতিয়ে নিতেই পরিকল্পিতভাবে খুন করে লাশ পুকুরের কচুরিপানার নিচে চাপা দিয়ে রাখে শিপন। এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা থানার ওসি আলমগীর কবির বলেন, ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এটা স্পষ্ট যে আলমগীর বিশ্বাসকে হত্যা করে কচুরিপানা চাপা দিয়ে রাখে খুনি। আমরা তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করছি। ঘাতক যেই হোক শিগগিরই তাকে খুঁজে গ্রেফতার করা হবে।