হাসপাতাল চত্বরে বিশৃঙ্খল পরিবেশ যানবাহনের ভিড়ে চলাচল দায়

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যানবাহনের ভিড়ে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল এলাকায় বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা যানবাহনের কারণে নিরাপদে চলাচল করতে পারছে না। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছেন, কয়েক মাস ধরে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল চত্বরে বিশৃঙ্খল ও অস্বস্তিকর পরিবেশ বিরাজ করছে। বহিরাগত রিকশা, ভ্যান, আলমসাধু, নসিমন, করিমন, প্রাইভেটকার, ইজিবাইক ও বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স যত্রতত্র অবস্থান করছে। এসব বাহন এলোমেলো যাতায়াত ও অবস্থান করার কারণে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা নিরাপদে চলাফেরা করতে পারছেন না। শুক্রবার এক যুবক অ্যাম্বুলেন্সের নিচে পড়ে আহত হয়। এছাড়া প্রায়ই রোগী ও তাদের স্বজনরা রিকশা, ভ্যান, ইজিবাইকের ধাক্কায় আহত হচ্ছেন। এ অবস্থা চলছে গত ৬ মাস ধরে। মাঝে মধ্যে হাসপাতালের প্রধান গেটের সামনে যানবাহন ঠেকাতে কর্মচারী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কিন্তু কোন পদক্ষেপই কাজে আসছে না। মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল রাখার জন্য হাসপাতালে গ্যারেজ তৈরি করা হয়েছে। অথচ, ওই গ্যারেজে আলমসাধু, ইজিবাইক রেখে ভাড়া নেয়া হয়। জরুরি বিভাগের সামনে এবং ভবনের আশপাশে থাকে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স, ইজিবাইক ও রিকশা-ভ্যান। এসব দেখে হাসপাতাল ক্যাম্পাসকে একটা বৃহৎ গ্যারেজে মনে হয়। মানুষের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত হাসপাতাল এলাকায় দরকার যানজটমুক্ত নিরাপদ পরিবেশ। অথচ, যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে সে পরিবেশ নেই। কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে যথাযথ ও কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। মাঝেমধ্যে পদক্ষেপ নেয়া হলেও স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না। ফলে, রোগীদের দুর্ভোগও লাঘব হচ্ছে না। শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোড হয়ে হাসপাতালে প্রবেশ করতে হয়। এ রোডটিতেও থাকে যানজট। অর্থাৎ, হাসপাতালের বাইরে ও ভেতরে যানবাহনের ভিড় থাকে সব সময়। স্বাভাবিক চলাফেরার ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে উঠেছে এ যানজট। এ ব্যাপারে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের আরএমও ডা. মো. আরিফ আহমেদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, যখন আমরা অফিসে থাকি, কর্মচারী ও পুলিশ থাকে, তখন যানবাহন কিছুটা কম থাকে। অফিস সময় শেষ হলে যানবাহন প্রবেশ করে। আবার রোগী নেয়ার জন্য যানবাহন প্রবেশ করে।