খেলার খবর

0

সাকিবকে সতীর্থ পেয়ে রোমাঞ্চিত মাহমুদউল্লাহ
স্পোর্টস ডেস্ক॥ ৭ বছর আগে বিজয় দিবস টি-টোয়েন্টিতে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। এছাড়া মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালের কোনো একজনের সঙ্গে ঘরোয়া ক্রিকেটে একই দলে সবশেষ কবে খেলেছেন, অনেক ভেবেও মনে করতে পারলেন না মাহমুদউল্লাহ। এবার বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টিতে সাকিবকে সতীর্থ হিসেবে পেয়ে তাই উচ্ছ্বসিত অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার। ড্রাফটে নিজেদের প্রথম ডাকে সাকিবকে দলে নিলেও জেমকন খুলনা অধিনায়ক হিসেবে বেছে নিয়েছে মাহমুদউল্লাহকে। জেমকনের বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি খুলনা টাইটানসকে ৩ মৌসুম নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে অনপ্রেরণাদায়ী ও কার্যকর অধিনায়ক হিসেবে তার আছে পরিচিতি। খুলনার ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তে তাই বিস্ময়ের খুব বেশি কিছু নেই। তবে মাহমুদউল্লাহ নিজে অবাক তিনি ও সাকিব একই দলে থাকায়। বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে দুজন সিনিয়র ক্রিকেটারের এক দলের খেলার সুযোগ থাকে সামান্যই। গত বঙ্গবন্ধু বিপিএলে অবশ্য ঢাকা প্লাটুন দলে একসঙ্গে খেলেছিলেন মাশরাফি ও তামিম। সেটি নিয়েও ড্রাফটে ও আগে-পরে নাটক হয়েছে বেশ। এবার মাহমুদউল্লাহ ও সাকিবের এক দলে থাকাও ড্রাফটের আগে ছিল প্রায় অভাবনীয়। এমনিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে ব্যস্ততা এবং চোট-বিশ্রাম মিলিয়ে সাকিব ঘরোয়া ক্রিকেটে বিপিএলের বাইরে অন্য টুর্নামেন্টগুলোয় খেলেন খুব কমই। এবার নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে এই বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি দিয়েই তিনি ফিরছেন। খুলনা প্রথম সুযোগেই তাকে নিয়েছে দলে। পরে শীর্ষ গ্রেডে থাকা মাহমুদউল্লাহকে অন্য দল না ডাকায় খুলনা পেয়ে যায় সুযোগ। দ্বিতীয় ডাকে তাকে নেয় দলে। করোনাভাইরাস থেক মঙ্গলবার সেরে ওঠার খবর পাওয়ার পর নেতৃত্বের সুখবরও পেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি জানালেন সাকিবকে সতীর্থ হিসেবে পেয়ে রোমাঞ্চের কথা। “আমরা এক দলে খেলব, আমার জন্যও একটু অবাক হওয়ার মতো ছিল। জাতীয় দলে অনেক বছর ধরেই একসঙ্গে খেলি, তবে সাধারণত ঘরোয়া ক্রিকেটে তো সাধারণত এরকম হয় না। অবশ্যই খুব ভালো লাগছে। ওর মতো একজন ক্রিকেটার থাকা যে কোনো দলের জন্যই বড় ব্যাপার।” “সাকিব সবসময়ই দারুণ পারফরমার, এখানেও পারফর্ম করবে সন্দেহ নেই। আশা করি আমাদের দলের তরুণরাও ওকে দেখে শিখতে পারবে।” আগামী মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টির প্রথম দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ফরচুন বরিশালের মুখোমুখি হবে জেমকন খুলনা।

১৬ বছর পর পাকিস্তান যাচ্ছে ইংল্যান্ড
স্পোর্টস ডেস্ক॥ অনেক দিন ধরেই চলছিল আলোচনা। কিন্তু ইংল্যান্ডের পাকিস্তান সফরের ভাগ্য ঝুলছিল অনিশ্চয়তার সুতোয়। অবশেষে চূড়ান্ত হয়েছে দুই দলের টি-টোয়েন্টি সিরিজের সূচি। ১৬ বছর পর ২০২১ সালের অক্টোবরে দেশটিতে সফরে যাবে ইংলিশরা। বিবৃতি দিয়ে বুধবার ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) নিশ্চিত করেছে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটি। আগামী বছরের ১৪ ও ১৫ অক্টোবর করাচিতে হবে ম্যাচ দুটি। পাকিস্তানে সিরিজ শেষেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে ভারত যাবে ইংল্যান্ড। তাই সিরিজটিকে প্রস্তুতির উপযুক্ত মঞ্চ হিসেবে দেখছেন ইসিবির প্রধান নির্বাহী টম হ্যারিসন। “এটা ঘোষণা করে সত্যিই আনন্দিত যে, ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি দল ২০২১ সালের অক্টোবরে পাকিস্তানে খেলতে যাচ্ছে। ২০০৫ সালের পর এটা হবে ইংল্যান্ড দলের পাকিস্তানে প্রথম সফর।” “২০২১ সালের অক্টোবর ও নভেম্বরে ভারতে হতে যাওয়া আইসিসির টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে ইংল্যান্ডের জন্য এই দুই ম্যাচের সিরিজ হবে আদর্শ প্রস্তুতি।” নিরাপত্তা শঙ্কায় ২০০৫ সালের পর আর পাকিস্তান সফরে যায়নি ইংল্যান্ড। কিন্তু কিছুদিন আগে করোনাভাইরাসের সংকটময় সময়েও ইংলিশদের মাঠে খেলে ফিরেছে পাকিস্তান। এরপরই দলটিকে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল পিসিবি। দুই বোর্ডের আলোচনায় চূড়ান্ত হয়েছে দুটি ম্যাচ। ধারনা করা হয়েছিল, সিরিজটি হতে পারে আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে। কিন্তু সে সময়ে শ্রীলঙ্কা ও ভারত সফর করবে ইংল্যান্ড। এ জন্য সিরিজটির ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছিল। ইংল্যান্ডের এই পদেেপর পর অস্ট্রেলিয়াও পাকিস্তান সফরের জন্য রাজি হবে বলে প্রত্যাশা করছেন পিসিবির প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খান। “দেশের মাটিতে আমরা নিউ জিল্যান্ডের বিপে সাদা বলের সিরিজ খেলার পর আসবে পূর্ণ শক্তির ইংল্যান্ড দল। আমরা আশা করছি, এফটিপিতে থাকা সিরিজ খেলতে ২০২২ সালের শুরুতে অস্ট্রেলিয়াও পাকিস্তান সফর করবে। আর ২০২২-২৩ মৌসুমে ইংল্যান্ড আসবে টেস্ট ও সাদা বলের সিরিজের জন্য।”

উইন্ডিজের সফর সংপ্তি করার প্রস্তাবে ‘ইতিবাচক’ বিসিবি
স্পোর্টস ডেস্ক॥ করোনা বিরতির পর মাঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরাতে বড় ভূমিকা রেখেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড। ক্যারিবীয়দের ইংল্যান্ড সফরের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মাঠে ফিরে। সব ঠিক থাকলে জানুয়ারিতে বাংলাদেশও ফিরতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। আর বাংলাদেশের এই ফেরাতেও মিশে থাকলে উইন্ডিজরা। তবে বাংলাদেশ সফর অনেকটা নিশ্চিত হলেও ক্যারিবীয়রা সিরিজ সংপ্তি করা প্রস্তাব দিয়েছে। যা নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বলা যায় বিষয়টি ইতিবাচকভাবেই ভাবছে বিসিবি। বাংলাদেশ সফরে তিনটি করে টেস্ট ও ওয়ানডে এবং দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার কথা ক্যারিবীয়দের। তবে করোনাকালে বায়ো বাবল ব্যবস্থার মধ্যে থেকে দীর্ঘকালীন সফর করতে চায় না উইন্ডিজ। সে েেত্র বিসিবি একটি টেস্ট কমাতে সম্মতি দিতে পারে। অন্তত বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজনের কথায় সেটি পরিষ্কার। বুধবার সংবাদমাধ্যমকে প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘এখনো এই বিষয়টা চূড়ান্ত হয়নি। আমাদের কাছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড অনুরোধ করেছে যে বায়ো বাবলের মধ্যে থাকাটা যেহেতু একটু সমস্যা। সিরিজের সময়টা কমিয়ে আনা যায় কিনা। সে েেত্র এটা একটা অপশন যে, একটা টেস্ট কমিয়ে সময় কমানো যায় কিনা। এটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এখনো চূড়ান্ত সময় নেয়া হয়নি।’ জানা গেছে ৭ জানুয়ারি ঢাকায় পা রাখতে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল। সিরিজের কোয়ারেন্টাইন বিধি কি হবে সে নিয়ে নিজাম উদ্দিন বললেন, ‘আমাদের একটা স্ট্যান্ডার্ড প্র্যাকটিস আছে বিদেশি খেলোয়াড় বা কোচ যারা অংশগ্রহণ করেন তাদের েেত্র। রিসেন্ট যে টুর্নামেন্টটা আমরা করেছি, সেখানেও কিছু বিদেশি স্টাফ ছিলেন। তাদের েেত্র যে প্র্যাকটিসটা আমরা করেছি, তারা আসার পর কোয়ারাইন্টাইনে থাকবেন। তাদের টেস্ট করা হবে। ফল যদি নেগেটিভ হয়, তাহলে তারা এভেইলেবল হবে। এভাবেই আমরা চেষ্টা করব। এভাবেই সরকারের সঙ্গে কথা হচ্ছে।’

উরুগুয়েকে হারিয়ে শীর্ষে ব্রাজিল
স্পোর্টস ডেস্ক॥ উরুগুয়েকে হারিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে শতভাগ সাফল্য ধরে রেখেছে ব্রাজিল। মন্তেভিদিওতে বাংলাদেশ সময় বুধবার ভোরে ২-০ গোলে জিতে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে রয়েছে দলটি। এদিন আর্থারের গোলে তারা এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রিশার্লিসন। এই নিয়ে উরুগুয়ের বিপে টানা ১১ ম্যাচ অপরাজিত ব্রাজিল; আট জয় ও তিন ড্র। চোটের কারণে ব্রাজিল দলে ছিলেন না নেইমার, ফিলিপে কৌতিনিয়ো ও ফাবিনিয়ো। আর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মাঠের বাইরে কাসেমিরো। কভিড-১৯ এর কারণে উরুগুয়েও হারায় তাদের সেরা তারকা লুইস সুয়ারেসকে। ৩৪তম মিনিটে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। জেসুসের পাস পেয়ে জুভেন্তুস মিডফিল্ডার আর্থারের দূর থেকে নেওয়া শট ডিফেন্ডার হিমেনেসের পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়। ৪৫তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রিশার্লিসন। ছোট করে নেওয়া কর্নারের পর সতীর্থের পা ঘুরে ডি-বক্সে ক্রস বাড়ান রেনান লোদি। লাফিয়ে হেডে ঠিকানা খুঁজে নেন এভারটন ফরোয়ার্ড। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করে উরুগুয়ে। বেশ কয়েকটি ভালো আক্রমণও করে তারা; কিন্তু সাফল্য অধরাই রয়ে যায়। উল্টো ৭৩তম মিনিটে বড় ধাক্কা খায় দলটি। খানিক আগের এক ঘটনায় রিশার্লিসনকে পেছন থেকে ফাউল করায় ভিএআরের সাহায্যে কাভানিকে সরাসরি লাল কার্ড দেখান রেফারি। এক জন কম নিয়ে বাকি সময়ে ঘুরে দাঁড়ানোর তেমন কোনো সম্ভাবনাই জাগাতে পারেনি উরুগুয়ে। চার ম্যাচে চার জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ব্রাজিল। ১০ পয়েন্ট নিয়ে আর্জেন্টিনা কনমেবল অঞ্চলে দ্বিতীয়। আরেক ম্যাচে কলম্বিয়াকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দেওয়া একুয়েডরের পয়েন্ট ৯। তারা তিনে। ১ পয়েন্ট নিয়ে ৯ নম্বরে পেরু।

জার্মানির জালে স্পেনের ৬ গোল
স্পোর্টস ডেস্ক॥ নেশন্স লিগের শিরোপা লড়াইয়ে জার্মানিকে ৬ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে স্পেন। সেভিয়ায় মঙ্গলবার রাতে ‘এ’ লিগের ৪ নম্বর গ্রুপের ‘ফাইনাল ফোরে’ ওঠার লড়াইয়ে এতটুকু প্রতিরোধ গড়তে পারেনি জার্মানরা। প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে জার্মানির এটাই সবচেয়ে বড় ব্যবধানে পরাজয়। মোরাতার নৈপুণ্যে এদিন ১৭ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার পর থামেনি স্পেন। প্রবল চাপ ধরে রেখে ৩৩তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে দলটি। লাইপজিগের মিডফিল্ডার দানি ওলমোর হেড ক্রসবারে লেগে ফেরার পর ফাঁকায় বল পেয়ে জোরালো শটে জালে পাঠান ম্যানচেস্টার সিটির তরুণ ফরোয়ার্ড তরেস। তারকা এই ফুটবলার এদিন ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিক করেন। তরেস, মোরাতা বাদে তাদের অন্য দুই গোলদাতা রদ্রি ও মিকেল ওইয়ারসাবাল। ছয় ম্যাচে তিন জয় ও দুই ড্রয়ে ১১ পয়েন্ট নিয়ে পরের পর্বে পা রাখলো স্পেন। দুই জয় ও তিন ড্রয়ে জার্মানির পয়েন্ট ৯। এক ম্যাচ করে কম খেলা ইউক্রেন ও সুইজারল্যান্ডের পয়েন্ট যথাক্রম ৬ ও ৩। জার্মানির পায়ে এদিন ৩০ শতাংশ সময় বল ছিল। গোলের দিকে তারা শট নিতে পেরেছে মাত্র দুটি। এর একটিও টার্গেটে ছিল না। অন্যদিকে স্পেন শট নিয়েছে ২৩টি, যার দশটিই টার্গেটে। ম্যাচ শেষে জার্মান ম্যানেজার জোয়াকিম লো নিজের হতাশা প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘এখনো বুঝতে পারছি না কী হল!’

তামিমদের হারিয়ে শিরোপা করাচি
স্পোর্টস ডেস্ক॥ আবারো ব্যাট হাতে মুগ্ধতা ছড়ালেন বাবর আজম। পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ফাইনালে খেললেন ৪৯ বলে ৬৩ রানে অপরাজিত ইনিংস। সুবাদে লাহোর কালান্দার্সের ছুঁড়ে দেওয়া ১৩৫ রান তাড়া করতে নেমে বলতে গেলে হেসে খেলেই জিতল করাচি কিংস। ৫ উইকেটে ম্যাচ নিজেদের করা করাচির এটি প্রথম পিএসএল শিরোপা। প্রথমবার ফাইনালে উঠে এসেই বাজিমাত করল দলটি। আগের চার আসরে দুইবার শিরোপা জেতে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড (২০১৬ ও ২০১৮)। একবার করে শিরোপা জেতে পেশোয়ার জালমি (২০১৭) ও কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর (২০১৯)। প্রথম শিরোপার হাতছানি ছিল লাহোরের সামনেও। এই দলে ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। বাংলাদেশি ক্রিকেট ভক্তদের চাওয়া ছিল তামিমের হাতে উঠুক শিরোপা। তবে শেষ পর্যন্ত সেটি হয়নি। এর দায় অবশ্যই লাহোর ব্যাটারদের। কারণ স্কোর বোর্ডে টি-টোয়েন্টিতে লড়ার মতো পুঁজি তারা গড়তে পারেনি। আবার বলা যায়, কৃতিত্ব করাচি বোলারদের। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৩৪ রানের বেশি করতে পারেনি তামিমদের লাহোর। জবাবে ১৮.৪ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ল্েয পৌঁছে যায় করাচি। ল্য তাড়া করতে নেমে বাবর আজম দারুণ শুরু এনে দেন দলকে। শারজিল খানকে নিয়ে ব্যাটিং শুরু করেন। শারজিল অবশ্য ১৩ রানে ফিরে যান। অ্যালেক্স হেলস ফেরেন ব্যক্তিগত ১১ রানে। তাতে ৬.৫ ওভারে ৪৯ রানে ২ উইকেট হারায় করাচি। তৃতীয় উইকেটে চ্যাডউইক ওয়ালটনকে নিয়ে বাবর নিজেদের কাজটা সহজ করে ফেলেন। দুজন যোগ করেন ৬১ রান। ২৭ বলে ২২ রান করে ফিরে যান ওয়ালটন। ১৮তম ওভারের প্রথম দুই বলে ইফতিখার আহমেদ (৪) ও রাদারফোর্ডকে (০) তুলে নিয়ে কিছুটা উত্তেজনা ফেরান হারিস রউফ। তবে বাবরের নির্ভার ব্যাট করাচিকে ল্যচ্যুত হতে দেয়নি। তার সঙ্গে ইমাদ ওয়াসিম ৭ বলে ২ চারে অপরাজিত ১০ রান করেন। এর আগে লাহোরের পে সর্বোচ্চ রানটা বাংলাদেশের তামিমের। ৩৮ বলে ৩৫ রান করেছেন ৪ চার ও ১ ছক্কায়। ফখর জামানকে সঙ্গে নিয়ে ওপেন করতে নেমেছিলেন তামিম। দুজনের কেউই আসলে টি-টোয়েন্টির ব্যাটিংটা করতে পারেননি। প্রথম ১০ ওভারে কোনো উইকেট না হারালেও দুজন তুলতে পারেন ৬৮ রান। ১১তম ওভারে তামিম এবং ফখর দুজনেরই বিদায় উমাইদ আসিফের বলে। ফখর ২৪ বলে ৪ চারে ২৭ রান করেন। এই দুই ওপেনার বিদায়ের পর অন্যদের ব্যাটও ঠিকঠাক জ্বলে উঠেনি। অধিনায়ক সোহেল আখতার ১৪ বলে ১৪, ডেভিড উইসে ১৪ বলে অপরাজিত ১৪ রান করেন। শাহিন শাহ আফ্রিদি শেষ দিকে ৪ বলে ১টি করে চার ও ছক্কায় করেন অপরাজিত ১২ রান। তাতে করে টেনেটুনে ৭ উইকেটে ১৩৪ রানের রানের পুঁজি পায় লাহোর। অতিরিক্ত খাত থেকে ১৪ রান না এলে স্কোর আরো কম হতে পারতো। করাচির পে ২টি করে উইকেট নেন ওয়াকাস মাকসুদ, আরশাদ ইকবাল ও উমাইদ আসিফ। ম্যাচসেরা হয়েছেন বাবর আজম। টুর্নামেন্ট সেরাও তিনি।