আদালতে অসত্য তথ্য উপস্থাপন করায় দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতারি পরোয়ানা

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরের একটি আদালতে অসত্য তথ্য উপস্থাপন করায় গতকাল বৃহস্পতিবার মো. সাকিল ও আতিয়ার রহমান নামে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পৃথক মামলা হয়েছে। যুগ্ম দায়রা জজ-১ম আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. মনিরুজ্জামান জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলা করেন। আদালতের বিচারক মো. সাইফুদ্দীন হোসাইন মামলা গ্রহণের পর আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন। আসামি মো. সাকিল খুলনার খালিশপুর থানার বৈকালী পুরাতন যশোর রোডের কাস্টমস হাউসের পাশের জনৈক মো. হেলাল উদ্দিনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে আদালতে দুটি মামলা হয়েছে। অপর আসামি আতিয়ার রহমান যশোর সদর উপজেলার ঘুনি গ্রামের মৃত আজিজুল হকের ছেলে। তার বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আসামি সাকিল গত ২৭ অক্টোবর আদালতে সিআর ৯৬৫/১৬ মামলার ১-৪ নম্বর আদেশ ও দায়রা ৩৩৬/১৭ মামলার ১-২০ নম্বর আদেশের অসত্যায়িত ফটোকপি দাখিল করেন। কিন্তু এই অসত্যায়িত আদেশসমূহের ফটোকপির অনুরূপ কোনো আদেশ নথিকে সংরক্ষিত নেই। আসামি আদালতের আদেশসমূহ জাল করে ফটোকপি করে তা দাখিল করেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। এ কারণে সংশ্লিষ্ট আদেশ অনুযায়ী আসামি সাকিলের বিরুদ্ধে দ-বিধি ৪৬৬/৪৬৭/৪৭১ ধারায় একটি মামলা করেন বেঞ্চ সহকারী মো. মনিরুল ইসলাম। সূত্র জানায়, একই আসামি গত ১৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে দায়রা ৩৩৭/১৭ নম্বর মামলার পি.ডব্লিউ-১ ও পি. ডব্লিউ-২ এর (কর্তনকৃত) জবানবন্দির অসত্যায়িত ফটোকপি দাখিল করেন। যা নথিতে সংরক্ষিত নেই এবং এটিও জাল বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। এ কারণে বেঞ্চ সহকারী মো. মনিরুল ইসলাম আদালতে তার বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করেন। আদালত এই দুটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। সূত্র আরও জানায়, যুগ্ম দায়রা জজ-১ম আদালতে বিচারাধীন একটি দেওয়ানি মামলার (নং-২৬৩/১৯) ১ম বাদী আতিয়ার রহমান। তিনি গত ৩ অক্টোবর আদালতে দেওয়ানি ওই মামলার মৃত ৭ নম্বর বাদীকে জীবিত দেখিয়ে এবং তার স্বাক্ষর জাল করে আরজি ও ওকালতনামা দাখিল করেন। এরই প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে আদালতে দ-বিধির ৪৬৫/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারায় মামলা করেছেন বেঞ্চ সহকারী মো. মনিরুল ইসলাম। আদালত এই মামলার প্রেক্ষিতে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন।