খাজুরায় সৌর পাম্পের সেচ সুবিধার আওতায় আসতে শুরু করেছে কৃষকের জমি

0

খাজুরা (যশোর) সংবাদদাতা ॥ সৌর বিদ্যুৎ চালিত পাম্পের সেচ সুবিধার আওতায় আসতে শুরু করেছে খাজুরা এলাকার অনেক কৃষকের জমি। এতে বদলে গেছে স্থানীয় ফসলের মাঠের চিত্র। সৌর শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ছয়টি সোলার ডিপ ইরিগ্রেশন পাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এতে লেবুতলা ইউনিয়নের এনায়েতপুর ও বন্দবিলা ইউনিয়নের বেতালপাড়া, তৈলকুপ ও খালিয়া-কেশবপুর মাঠের কয়েক হাজার হেক্টর জমির সেচের পানির চাহিদা মেটাবে। ইতোমধ্যে চলতি আমন মৌসুমে এর সুবিধা ভোগ করেছেন কৃষকেরা।
শুক্রবার সকালে ছয়টি সোলার ডিপ ইরিগ্রেশন পাম্পের মধ্যে খালিয়া শান্তির মোড়ের একটি প্রজেক্টের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। বিদ্যুৎ, জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও স্রেডার চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলাউদ্দীন ফিতা কেটে এর উদ্বোধন করেন। এ সময় জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) স্রেপজেন প্রজেক্ট ও ইডকলের কর্মকর্তাগণ, মাজান্ড কনসোর্টিয়ামের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহ, ফিল্ড ম্যানেজার শামীম আহম্মেদসহ অর্ধশতাধিক কৃষক উপস্থিত ছিলেন। ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড’র (ইডকল) আর্থিক সহযোগিতায় মাজান্ড কনসোর্টিয়াম লিমিটেড এটি বাস্তবায়ন করছে।
খালিয়া-কেশবপুর মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, ২০ কিলোওয়াট শক্তির সৌর প্যানেল ও ১৫ হর্স পাওয়ারের পাম্প স্থাপন করেছে মাজান্ড। প্রতিটি পাম্পে দিনে ১৪ লাখ ৩৫ হাজার লিটার পানি সরবারহ করা হচ্ছে। স্থানীয় কৃষকেরা জানিয়েছেন, এ মাঠে প্রায় ৩শ বিঘা জমিতে সেচ দিতে একসময় ডিজেলচালিত আটটি শ্যালোমেশিন চলতো। বোরো মৌসুমে সেচপাম্পের মালিকদের হিমশিম খেতে হতো। কখনো ডিজেলের সংকট, কখনো বিকল হতো ইঞ্জিন। সেচ বিঘিœত হওয়ায় ধান চিটা হতো। এবার আমন মৌসুম থেকে সৌর চালিত সেচপাম্পের আওতায় এসেছে পুরো মাঠ। এই পাম্পে পানি বেশি ওঠায় েেত সেচ দিতে সময় কম লাগে। খরচও অর্ধেক।
মাজান্ডের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহ জানান, বৃহত্তর যশোরে ১০টি প্রজেক্ট চালু করা হয়েছে। প্রতিটিতে খরচ হয়েছে প্রায় ৩৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে ১৫ শতাংশ পুঁজি প্রতিষ্ঠান থেকে বিনিয়োগ করা হয়েছে। বাকিটা দিয়েছে ইডকল।