বেনাপোল কাস্টমস হাউসের দু রাজস্ব অফিসারের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগে শুল্কায়ন বন্ধ

0

শার্শা (যশোর) সংবাদদাতা ॥ যশোরের বেনাপোল কাস্টমস হাউসের শুল্কায়ন গ্রুপ ৩ ও ৪ এর দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজস্ব অফিসার স্বপন কুমার দাস ও শহিদুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে হয়রানি ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে গত চার দিন ধরে শুল্কায়ন বন্ধ করে দিয়েছে বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ মালিক ও স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন। যে কারণে কোটি কোটি টাকার কাজ বন্ধ রয়েছে। অভিযুক্ত ওই দুই কর্মকর্তাকে ৩ ও ৪ গ্রুপ থেকে না সরালে আরও কঠিন কর্মসূচির হুমকি দিয়েছে সিঅ্যান্ডএফ মালিক ও স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন।
অভিযোগে জানা গেছে, বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ৩ ও ৪ নং গ্রুপে সব থেকে বেশি শুল্কায়ন হয়ে থাকে। ৩ ও ৪ নং গ্রুপে মেশিনারিজ, প্লাস্টিকপণ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের শুল্কায়ন হয়ে থাকে। এ দু-গ্রুপ থেকে রাজস্বও বেশি আদায় হয়ে থাকে। এ দু-গ্রুপ এজন্য বেশি গুরুত্ব বহন করে। এই সুযোগে বেনাপোল কাস্টমস হাউসের শুল্কায়ন গ্রুপ ৩ ও ৪ এর দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজস্ব অফিসার স্বপন কুমার দাস ও শহিদুল ইসলাম ব্যবসায়ী ও সিঅ্যান্ডএফ প্রতিনিধিদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে থাকে। পণ্যের ধরন বুঝে তাদের চাহিদামত দাবি পূরণ না করলে এ দুই অফিসার তাদের ইচ্ছেমত পণ্যের নির্ধারিত এইচ এস কোড ও সিপিসি পরিবর্তন করে বেশি ট্যাক্স আদায় করে। এ ছাড়া সিঅ্যান্ডএফ প্রতিনিধিদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে। তাদের ইচ্ছেমত অফিস করে। প্রতিবাদ করলে প্রতিবাদকারীর ফাইল আটকে রাখে। এসব কারণে গত চার দিন ধরে শুল্কায়ন গ্রুপ ৩ ও ৪ এ সকল প্রকার শুল্কায়ন কাজ বন্ধ রয়েছে। সূত্রে আরও জানা গেছে, ৪ নং গ্রপের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-কমিমনার এস এম শামীমুর রহমান এর বিরুদ্ধেও হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। অভিযাগ উঠেছে তিনি প্রতি ফাইলে অনুমতি স্বাক্ষর করতে ঘন্টার পর ঘন্টা সময়পেণ করেন। তার বিরুদ্ধে নির্ধারিত চুক্তি ছাড়াও পণ্য বুঝে চুক্তির মাধ্যমে শুল্কায়ন করেন।
এ ব্যাপারে বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি কামাল হোসেন জানান, হাউসের ৩ ও ৪ নং গ্রুপের রাজস্ব অফিসার তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে। চুক্তি ছাড়া কোন ফাইলে কাজ করে না। যে কারণে তারা স্বাভাবিক ভাবে কাজ করতে পারছে না। এ জন্য ৩ ও ৪ নং গ্রুপে সকল কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। সিএন্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, ৩ ও ৪ নং গ্রুপের দুই জন রাজস্ব অফিসারকে বদলি না করলে আরও কর্মসূচি দেওয়া হবে। তিনিও ওই দুই অফিসারের বিরুদ্ধে ঘুস, দুর্নীতি, হয়রানি ও অনিয়মের অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ মফিজুর রহমান স্বজন জানান, গ্রুপে অফিসারের সাথে ঝামেলা হয়েছে। বিষয়টি কমিশনারের সাথে বসে খুব দ্রুত মীমাংসা করা হবে। বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার আজিজুর রহমান বলেন, একটু সমস্যা হয়েছে যা আজই সমাধান করা হবে। তিনি বলেন একটি মহল অবৈধ সুবিধা না পেয়ে ঝামেলা করছে। তিনি বলেন কাস্টম হাউসে যদি কেউ অনিয়ম করে তবে তার প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক বেনাপোল কাস্টমস হাউসে কোন অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না।