আন্তর্জাতিক সংবাদ

0

ক্ষুধার সূচকে বাংলাদেশের পেছনে পড়ায় খেপেছেন রাহুল
লোকসমাজ ডেস্ক॥ বিশ্ব ুধা সূচকে বাংলাদেশ, পাকিস্তানের চেয়ে ভারত পিছিয়ে পড়ায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তীব্র সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। রাহুল শনিবার বলেছেন, বিজেপি সরকার পকেট ভর্তি করতে ব্যস্ত আছে। ২০২০ সালে ২০.৪ স্কোর নিয়ে ১০৭টি দেশের মধ্যে ৭৫তম স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৮৮ নম্বরে। ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট শুক্রবার চলতি বছরের যে ‘বিশ্ব ুধা সূচক’ প্রকাশ করেছে, সেখানে ১৩২টি দেশের ডেটা সংগ্রহ করা হলেও তালিকায় রাখা হয়েছে ১০৭টি দেশকে। এর আগে ২০০০ সালে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৩৬, যা ুধা সূচকে ‘ভীতিকর’ অবস্থাকে নির্দেশ করে । ২০১০ সালে স্কোর কিছুটা কমে হয় ৩০ দশমিক ৩। অর্থাৎ ুধা সূচকে বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করে যাচ্ছে। ভারত চলতি বছরে ৯৮ নম্বরে রয়েছে। তাদের স্কোর ২৭.২। পাকিস্তান ৮৮ নম্বরে। এই পরিস্থিতি দেখে রাহুল হিন্দিতে লেখা টুইটে বলেছেন, ‘ভারতের গরিবেরা ুধার্ত। কারণ সরকার নিজেদের এবং স্বজনদের পকেট ভারী করছে।’ এই সূচকে শূন্য থেকে ১০০ পয়েন্টের মাপকাঠিতে যাচাই করা হয় কোন দেশ কতটা ুধাপীড়িত। মাপকাঠিতে শূন্য হচ্ছে সবচেয়ে ভালো স্কোর, যার অর্থ সেই দেশটিতে ুধা নেই। আর ১০০ হচ্ছে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা। ১০-এর কম স্কোর পাওয়ার অর্থ সেই দেশে ুধার সমস্যা কম। ২০ থেকে ৩৪ দশমিক ৯ স্কোরের অর্থ তীব্র ুধা, ৩৫ থেকে ৪৯ দশমিক ৯ অর্থ ভীতিকর ুধা আর ৫০ বা তার বেশি স্কোর বলতে বোঝায় চরমভাবে ভীতিকর ুধায় পীড়িত দেশকে।

ফিনল্যান্ড প্রধানমন্ত্রীর ‘আবেদনময়ী’ ফটোশুটে আলোচনার ঝড়
লোকসমাজ ডেস্ক॥ ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মেরিনের একটি ফটোশুট নিয়ে দেশটিতে ‘তীব্র’ আলোচনা শুরু হয়েছে। ছবিগুলোতে যৌন আবেদনের বার্তা ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছেন সেখানকার রণশীলরা। মেরিন গত বছর দেশটির সরকার প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণের পর পৃথিবীর সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ইতিহাস গড়েন। ৩৪ বছর বয়সী এই তরুণী ট্রেন্ডি ম্যাগাজিনের অক্টোবর সংখ্যার ফটোশুটে অংশ নেন। কভার ফটোতে ‘খোলামেলা’ দেখা গেছে তাকে। ম্যাগাজিনটির পরিচালক মারি প্যালোসালো-জুসিন্মেস্কি সিএনএনকে এই ছবির বিষয়ে বলেছেন, ‘ফটোশুট এবং কভার স্টোরির বিরুদ্ধে তীব্র আলোচনা হচ্ছে। ৯ অক্টোবর ম্যাগাজিন বাজারে আসার পরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রীতিমতো সমালোচনায় মুখর।’ ‘যদি সার্বিকভাবে এটি দেখেন, তাহলে পুরুষেরা বলছে অপরাধ, নারীরা বলছে চমৎকার।’ ‘এটি কিছুটা বিস্ময়ের। আমরা এর আগে অনেক বিখ্যাত মানুষের ছবি তুলেছি। যারা ব্লেজার পরেছেন অন্তর্বাস ছাড়াই। কিন্তু এমন প্রতিক্রিয়া কখনো দেখা যায়নি।’ অনেকে বলছেন, ‘করোনার সময়ে এই কাজ একজন প্রধানমন্ত্রীর জন্য বেমানান। তিনি নিজের সময় নষ্ট করেছেন।’ মেরিন বরাবরই নারী অধিকারের বিষয়ে সোচ্চার। কিছুদিন আগে নারীদের গুরুত্ব বোঝাতে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরীকে একদিনের জন্য প্রধানমন্ত্রী করেন। নারী অধিকার বিষয়ক অনেক কর্মকাণ্ডেও তাকে একাধিকবার অংশ নিতে দেখা গেছে।

আজারবাইজানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ১২
লোকসমাজ ডেস্ক॥ আজারবাইজানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর গানজায় আর্মেনিয়ার পেণাস্ত্র হামলায় কমপে ১২ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৪০ জনের বেশি। আজারবাইজানের জেনারেল প্রসিকিউটর অফিসের বরাত দিয়ে ট্রেন্ড নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে গানজা শহরের কেন্দ্রস্থলে চালানো এ হামলায় ২০টি মতো ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। হতাহতদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত করতে জেনারেল প্রসিকিউটর অফিস বর্তমানে কাজ করছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে আজেরি প্রেসিডেন্টের সহকারী ও পররাষ্ট্র বিভাগের প্রধান হিকমাত হাজিয়েভ বলেন, ‘গানজায় আরেক দফাসহ আজেরি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর আর্মেনিয়ার কাপুরুষোচিত ও নৃশংস হামলায় প্রমাণ করে তারা রাষ্ট্রীয়ভাবে গণহত্যার নীতি ধারণ করে। আর্মেনিয়াকে জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত।’ এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে গানজা শহরে আর্মেনিয়ার পেণাস্ত্র হামলায় ১০ জনের বেশি আজেরি বেসামরিক লোক নিহত হন। আহত হন ২০ জনের মতো। শহরটিতে ৩ লাখ ৩০ হাজার বাসিন্দা রয়েছে। সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে শুরু হওয়া যুদ্ধে ইতোমধ্যে আর্মেনিয়ার দখলে থাকা কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ জাব্রাইল জেলাসহ কয়েকটি এলাকা পুনরুদ্ধার করেছে আজারবাইজান। গত ২৭ বছর ধরে এসব এলাকা আর্মেনিয়া দখল করে রেখেছিল। আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান উভয় দেশই সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর তারা দুটি স্বাধীন দেশে পরিণত হয়। প্রায় চার দশক ধরে নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে বিরোধ চলছে। নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলকে আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের এলাকা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হলেও এটি এখনো আর্মেনীয় নৃগোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।