যশোরে জাতীয় স্যানিটেশন মাস ও বিশ্ব হাতধোয়া দিবস পালিত ‘স্যানিটেশন কভারেজে বাংলাদেশ ভারতের থেকে এগিয়ে’

0

বিএম আসাদ ॥ বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসে দেশের মানুষের ভেতর হাত ধোয়ার অভ্যাস বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১২-১৩ সালের এমআইসিএস জরিপে সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়ার পরিমাণ ছিল শতকরা ৫৯ দশমিক ১ ভাগ। যেখানে ২০১৯ সালে এসে তা বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ৭৫ ভাগ। অন্যদিকে, উন্নত ল্যাট্রিন ব্যবহার করে শতকরা ৮২ দশমিক ৩ ভাগ। স্যানিটেশন কভারেজের ক্ষেত্রে ভারতের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে। জাতীয় স্যানিটেশন মাস-২০২০ এবং বিশ্ব হাতধোয়া দিবস পালন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় আলোচকবৃন্দ তাদের বক্তৃতায় এ তথ্য জানিয়েছেন। গতকাল বেলা সাড়ে ১০টায় যশোর কালেক্টরেট সভাকক্ষে যশোর জেলা প্রশাসন ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। এ বারের প্রতিবাদ্য বিষয় ‘উন্নত স্যানিটেশন নিশ্চিত করি করোনাভাইরাস মুক্ত জীবন গড়ি’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জাহিদ পারভেজ। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন যশোরের জেলা প্রশাসক মোঃ তমিজুল ইসলাম খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ রফিকুল হাসান, প্রেসকাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক অসিত কুমার সাহা। এনজিও-দের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন লিপীকা, আলোচকবৃন্দ বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোভাইরাসে এ বছর আমাদের সকলকে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস শিখিয়েছে। করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত থাকার জন্য নিজ উদ্যোগেই মানুষ সাবান দিয়ে হাতধোয়ার অভ্যাস করেছেন। এর আগেও রোগমুক্ত থাকার জন্য সাবান দিয়ে হাতধোয়ার কথা বলা হতো জাতীয় স্যানিটেশন দিবসে। আগামীতে এ কর্মসূচি আরো এগিয়ে যাবে বলে আলোকবৃন্দ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সার্কভুক্ত দেশের ভেতর স্যানিটেশন কভারেজের চিত্র তুলে ধরে বলেন, ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ উন্নত স্যানিটেশন ব্যবহারের পরিমাণ ছিল শতকরা ৩৪ ভাগ। ভারতে ছিল শতকরা ১৭ ভাগ। ২০১৫ সালে এ কভারেজের হার দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশে শতকরা ৬১ ভাগ। ভারতে শতকরা ৪০ ভাগ। উন্নত দেশ হওয়া সত্ত্বেও ভারতের থেকে বাংলাদেশ স্যানিটেশন কভারেজে অনেক এগিয়ে রয়েছে। বৈশ্বিক করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির বাস্তবতায় ১৫ অক্টোবর জাতীয় স্যানিটেশন মাস পালনের পাশাপাশি বিশ্ব হাতধোয়া দিবস পালন করা হয়।
সকাল ১০টায় কালেক্টরেট চত্বরে জেলা প্রশাসক মোঃ তমিজুল ইসলাম খান বেলুন উড়িয়ে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। পরে সাবান দিয়ে হাতধোয়ার পদ্ধতি শেখানো হয়। এ সময় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ যশোর অন্ধ কল্যাণ সংস্থার কর্মকর্তা মুক্তার আলীসহ সকল দৃষ্টিপ্রতিবন্ধি এনজিও কর্মী ব্যানার নিয়ে শো ডাউন করেন। প্রেসকাব সভাপতি, জেলা প্রশাসক, সহকারী কমিশনার মাহমুদুল হাসান, মুনা আফরীনসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ দৃষ্টি প্রতিবন্ধিদের মাঝে সাদা ছড়ি বিতরণ করেন।