স্তব্ধ, বিস্মিত মর্মাহত

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ মানবাধিকার কর্মী, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট সালমা আলী বলেছেন, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ধর্ষণের ঘটনায় আমার প্রতিবাদ করার ভাষা নেই। আমি স্তব্ধ, বিস্মিত এবং মর্মাহত। তিনি আরো বলেন- নারী অবমাননা ঘরে-বাইরে, রাস্তাঘাটে এমন মাত্রায় গেছে এটাকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে এ জন্য সরকারকে নড়েচড়ে বসা উচিত। এইসব অপরাধের শাস্তিগুলো দৃশ্যমান দেখি না। শাস্তি মাত্র সাড়ে পাঁচ থেকে সাত পার্সেন্ট হচ্ছে। দীর্ঘসূত্রতার কারণে নিম্ন আদালতে রায় হলেও উচ্চ আদালতে যখন বিচারটা হয় তখন আর কেউ দেখে না। এই যে পুরুষ তার জৈবিকতাকে যেভাবে ব্যবহার করছে, যে আক্রমণাত্মক ছেলেখেলা করছে তা ঘুরেফিরে দেখা যাচ্ছে যে, একজন নারীকে হেয় করছে। একজন নারীকে হেয় করা মানে তার মাকে হেয় করা।
এ বিষয়গুলোকে নিয়ন্ত্রণে আইনের প্রয়োগের যেমন একটা প্রয়োজন। এখানে পরিবারের একটা বিরাট বড় দায়িত্ব রয়েছে। সমাজের একটা দায়িত্ব এবং প্রশাসনের একটা দায়িত্ব রয়েছে। বিশেষ করে রাজনৈতিক দলগুলোর একটা দায়িত্ব আছে। বিরোধী দলে যারা আছে তাদেরও দায়িত্ব রয়েছে। অপরাধের ধরনগুলো যেমন বের করা দরকার। কোন অবক্ষয় থেকে এগুলো হচ্ছে। মাদক থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা জিনিস নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে এগিয়ে আসা উচিত। ভারতে এসব ঘটনায় যেভাবে রাজনৈতিক দলগুলো এগিয়ে আসে। যেভাবে সেখানে একটি মেয়ে জিতে যায়। অনেকে বলে এটা পলিটিক্যাল গেইম। নারী নির্যাতন বন্ধের জন্য পলিটিক্যাল গেইম যদি হয় তাহলে তা করুক না। এটা তো ভালো। তাহলে নারীর ভোটগুলো পাবে। নারীর ঘটনাগুলোকে যেভাবে ধামাচাপা দেয়া হয়, বিচার হয় না। আমরা জানি যে, প্রধানমন্ত্রী নিজে নারী প্রগতির কথা বলেন, কন্যাশিশুদের ভালো কথা বলেন। কিন্তু উনার সঙ্গে যারা আছেন তাদের এ বিষয়ে একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে যেভাবে কাজ করার কথা তারা সেই কাজটি করছে কিনা। সেখানকার এমপি সাহেব কোথায়, সেখানকার উপজেলা চেয়ারম্যান কোথায়, সেখানকার রাজনৈতিক নেতারা কারা? যারা এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে তারা কারা? তাদের বয়স কত? এ বিষয়গুলো সবকিছু আমাদের জানতে হবে। না হলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকবে।