রাজগঞ্জসহ হাটবাজারে ধানের দাম কম, অস্থির চালের বাজার

0

ওসমান গণি, রাজগঞ্জ (যশোর)॥ যশোর মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ বাজারসহ গ্রামের হাটবাজারগুলোতে হঠাৎ ধানের দাম মণপ্রতি দেড়’শ টাকা কমে গেছে। এতে ব্যবসায়ী ও কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। তবে, অস্থির চালের বাজার। বস্তা প্রতি (৫০ কেজি) চাল এক’শ থেকে দেড়’শ টাকা বৃদ্ধিতে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে ধান থেকে তৈরি গোখাদ্য খুদ ও কুড়ার দাম বস্তা প্রতি (৫০ কেজি) এক’শ থেকে দেড়’শ টাকা বৃদ্ধিতে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, তারা যে মিনিকেট ও আটাশ ধান গত এক সপ্তাহ আগে ১২’শ থেকে সাড়ে ১২’শ টাকা মণ দরে কিনেছিলেন এখন তার দাম ১১’শ থেকে সাড়ে ১১’শ টাকা। এ হিসেবে ধানের দাম কমলেও বেড়েছে চালের দাম।
হাটবাজারে গিয়ে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ আগে মিনিকেট চালের দাম ছিল বস্তা প্রতি ২৪’শ টাকা। হঠাৎ তা বৃদ্ধি পেয়ে ২৫’শ টাকা, বাসমতি ২৮’শ টাকার স্থলে ৩ হাজার টাকা, আটাশ ২২’শ টাকার স্থলে ২৩’শ ৫০ টাকা, স্বর্ণা ২১’শ ৫০ টাকার স্থলে ২২’শ ৫০ টাকা করে বস্তা বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে গরুর খাদ্য চালের খুদ ১২’শ থেকে ১২’শ ৫০ টাকার স্থলে ১৩’শ ৫০ টাকা থেকে ১৪’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কুড়া বস্তা প্রতি (৩৫ কেজি) সাড়ে ৩’শ টাকার স্থলে সাড়ে ৪’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ব্যাপারে কথা হয় রাজগঞ্জ বাজারের চাল ব্যবসায়ী ফজলুর রহমান খোকনের সাথে। তিনি বলেন, হঠাৎ চাতাল মালিকরা চাল ও খুদ-কুড়ার দাম বস্তাপ্রতি ১’শ থেকে দেড়’শ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছেন। যে কারণে তাদেরকেও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। চাতাল মালিক আইয়ূব খান বলেন, বেশি দামে ধান কিনতে হয়েছে। বৃষ্টির কারণে ধান সিদ্ধ বা শুকানো যায়নি। যে কারণে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় চালের দাম বৃদ্ধি হয়েছে। রাজগঞ্জ বাজারের ধান ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম ও আসাদুল হক বলেন, তারা কৃষকের কাছ থেকে মণপ্রতি সাড়ে ১২’শ টাকা দরে ধান কিনেছেন। কিন্তু হঠাৎ চাতাল মালিকরা তাদের কাছ থেকে ধান কেনা বন্ধ করে দিয়েছেন। তাদের ধান বিক্রির আর কোন জায়গা নেই। সেজন্য কমে গেছে ধানের দাম। ঝাঁপা ইউনিয়নের মেম্বার শাহাদুল ইসলাম জানান, তার নিজের েেতর এক’শ মণ মিনিকেট ধান রয়েছে। এই ধান বিক্রির জন্য তিনি ব্যবসায়ীদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছেন। কিন্তু কোথাও সাড়া মিলছে না।