চৌগাছায় স্কুলে অবৈধ কমিটির মাধ্যমে গ্রন্থাগারিক নিয়োগ!

0

চৌগাছা (যশোর) সংবাদদাতা ॥ যশোরের চৌগাছায় বর্ণি রামকৃষ্ণপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অবৈধ কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি প্রতিকারে বিদ্যালয়ের কমিটি বাতিলের দাবিতে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিা বোর্ডে আবেদন করেছেন নাজিম উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি। তিনি রামকৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা।
সূত্র জানায়, বর্ণি রামকৃষ্ণপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও তাদের বিরুদ্ধে স্কুল পরিচালনা করার অভিযোগ রয়েছে। এই অবৈধ কমিটির মাধ্যমে বিদ্যালয়টিতে সহকারী গ্রন্থাগারিক নিয়োগ দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিকসহ কতিপয় রাজনীতিক। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি এলাকায় আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। এদিকে বিষয়টির প্রতিকার পেতে বিদ্যালয়ের ওই কমিটি বাতিলের দাবিতে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিা বোর্ডে আবেদন করেছেন নাজিম উদ্দিন। আবেদনে তিনি উল্লেখ করেছেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানটিতে সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার পদ খালি ছিল। প্রধান শিক ওই পদে নিয়োগ বাণিজ্য করতে ২০১৮ সালে অবৈধভাবে তার মনোনীত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করেন। এই কমিটিতে অভিভাবক সদস্য হিসেবে রয়েছেন রামকৃষ্ণপুর গ্রামের খায়রুল ইসলাম ও আবুল হোসেন। কমিটিতে তাদেরকে অভিভাবক সদস্য হিসেবে দেখানো হলেও এই স্কুলে তাদের কোন ছেলে মেয়ে শিার্থী নেই। রোববার দাখিল করা আবেদনে নাজিম উদ্দিন বলেছেন, এই অবৈধ ম্যানেজিং কমিটি দিয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তির কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ গ্রহণ করা হয়েছে। নিয়োগ বোর্ড গঠনের সময়ও প্রধান শিক প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন। তৈয়েবুর রহমান নামে রামকৃষ্ণপুর গ্রামের এক ব্যক্তি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির বিদ্যোৎসাহী সদস্য। কিন্তু প্রধান শিকের নিজস্ব লোক হওয়ায় তাকে অভিভাবক সদস্য দেখিয়ে নিয়োগ বোর্ডে রাখা হয়। যদিও তৈয়েবুর রহমানের কোন সন্তান ওই স্কুলে পড়ে না। যশোর শিা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে দেয়া আবেদনে নিয়োগ বাণিজ্যের জন্য গঠিত ওই অবৈধ কমিটি বাতিল এবং অভিযুক্ত প্রধান শিককে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা হবিবর রহমান বলেন, ‘যাদেরকে নেয়া হয়নি তারাই স্কুলের প্রধান শিককে ফাঁসাতে এ বিষয়ে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। টাকা যে দিয়েছে আর যে নিয়েছে তারাই জানে, আমি এ নিয়ে কথা বলতে চাই না।’ প্রধান শিক মিজানুর রহমান বলেন, ‘যে দু’জনকে কমিটির সদস্য করার অভিযোগ করা হয়েছে তারা দুজনই এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের দাদা। স্কুল পরিচালনা করতে নানা ঝামেলার মুখোমুখি হতে হয়। সবকিছু মাথায় নিয়েই কমিটি গঠন করতে হয়। তবে নিয়োগে অর্থবাণিজ্যের কোন ঘটনা ঘটেনি।’ যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিা বোর্ডের স্কুল পরিদর্শক ড. বিশ্বাস শাহীন আহমেদ বলেন, ‘এমন একটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হবে। প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’