যশোরে ভোজ্যতেলের কেজিতে ১০ ও চালের কুইন্টালে বাড়লো ২০০ টাকা

0

শেখ আব্দুল্লাাহ হুসাইন ॥ যশোর বাজারে গত তিন দিনে হঠাৎ করে ভোজ্যতেলের দাম প্রতি কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। একই সাথে গত তিন দিনে চালের বাজারেও অস্থিরতা দেখে দিয়েছে। প্রতি কুইন্টালে প্রায় সবরকম চালের দাম বেড়েছে ২০০ টাকা। কোম্পানির প্রতিনিধিরা বলছেন আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে। অন্যদিকে চালকল মালিকরা বলছেন হাটে ধানের দাম বেড়েছে। তাই চালের দাম বাড়ছে।
যশোর বড়বাজারে গত তিন দিনে হঠাৎ করে সয়াবিন তেলে প্রতি কেজিতে ৮ টাকা, সুপার তেলে ১০ টাকা ও পাম তেলে ১০ টাকা বেড়েছে। গতকাল বুধবার বড়বাজারে খুচরা বিক্রেতা রবি ব্যাণার্জি জানান, তিনি গত তিন দিন আগেও সয়াবিন তেল প্রতি কেজি ৯২ টাকা, সুপার তেল ৮০ টাকা ও পাম তেল ৭৮ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। বর্তমানে পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে ভোজ্যতেল কিনতে হচ্ছে। তাই খুচরা দাম বাড়তি। যশোরে ভোজ্যতেলের পাইকারি ব্যবসায়ী কুন্ডু ওয়েল মিলের স্বত্বাধিকারী রবিন কুন্ডু জানান, সয়াবিন তেলের বুকিং বেড়ে যাওয়ায় অনেকে যশোরে তেল আনছেন না। ফলে যশোরে চাহিদার তুলনায় সয়াবিন, সুপার ও পাম তেল কম সরবরাহ রয়েছে। তিনি গতকাল বুধবার সয়াবিন তেল পাইকারি দর প্রতি কেজি ৯৫ টাকা ৬৮ পয়সা, সুপার তেল প্রতি কেজি ৮৭ টাকা ৮৪ পয়সা ও পাম তেল প্রতি কেজি ৮৫ টাকা ১৪ পয়সা দরে বিক্রি করেছেন। তবে টিকে গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ এর পুষ্টি ব্র্যান্ডের রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার মুনির হোসেন বুধবার জানান, তিনি জানতে পেরেছেন আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে। এ কারণে বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।
এদিকে গত তিন দিনে চালের বাজারও অস্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। হঠাৎ করেই প্রায় সব ধরনের চালের কুইন্টালে ২০০ টাকা, অর্থাৎ প্রতি কেজিতে ২ টাকা করে বেড়েছে। গতকাল বুধবার বড়বাজার চাল বাজারে মোটা চাল স্বর্ণা খুচরা প্রতি কেজি প্রকারভেদে ৪৩ থেকে ৪৪ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৪৮ থেকে ৪৯ টাকা, কাজললতা চাল ৪৮ টাকা, মিনিকেট চাল ৫০ থেকে ৫২ টাকা ও বাংলামতি চাল ৫২ টাকা থেকে ৫৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এসব চালের দর গত তিন দিন আগেও প্রতি কুইন্টালে ২ টাকা করে কম ছিল। যশোর চাল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুশীল বিশ^াস জানান, হাটে-ঘাটে ধানের দাম বেড়ে গেছে, এ কারণে বাজারে চালের দামও বাড়তি। এদিকে, যশোর বারীনগর বাজারের এস.কে অটো রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী আমীর আলী বুধবার জানান, বর্তমানে ধান চালের মজুত কমে এসেছে। ইতোমধ্যে ধান-চালের সংকট দেখা দিয়েছে। কৃষক ও মজুতদারদের হাতে যে ধান আছে হাটে তার দাম বেশি। বর্তমানে হাটে মোটা হাইব্রিড ধানের মণ বিক্রি হচ্ছে ১১শ টাকা, চিকন ধান ১১শ ৫০, ১১শ ৭০ আর মিনিকেট ধান বিক্রি হচ্ছে ১২শ টাকার ওপরে। তিনি আরও বলেন নভেম্বর মাসে নতুন ধান ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে তিনি আশা করছেন সরকার ১০ টাকা কেজি দরের চাল ছাড়তে শুরু করায় খুব শিগগিরই বাজার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।