রাশিয়া থেকে আসছে ৪৩৭ কোটি টাকার গম

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ দেশের খাদ্য ঘাটতি পূরণে রাশিয়ান ফেডারেশন থেকে জি-টু-জি (সরকার টু সরকার) পদ্ধতিতে ২ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানি করছে সরকার। এ জন্য মোট ব্যয় হবে ৪৩৭ কোটি ৫৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এই সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় কমিটির সদস্য, মন্ত্রিসভা পরিষদের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাসিমা বেগম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, ‘সভায় রাশিয়ান ফেডারেশন হতে সরকার থেকে সরকার (জি-টু-জি) পর্যায়ে ২ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের মাধ্যমে ৬০:৪০ অনুপাতে এ গম আমদানি করা হবে। প্রতি মেট্রিক টন ২৫৮ মার্কিন ডলার হিসেবে ক্রয় করা হচ্ছে। ২ লাখ মেট্রিক টন গমের জন্য ব্যয় হবে ৫ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪৩৭ কোটি ৫৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা।’ খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিদেশ থেকে গম কেনার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক দরপত্র-কোটেশনের পাশাপাশি জি-টু-জি পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে। জি-টু-জি পদ্ধতিতে গম আমদানির লক্ষ্যে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তিও রয়েছে। এই চুক্তির আওতায় ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে দেশটির সরকারি সংস্থা ‘ফরেন ইকোনমিক কো-অপারেশন প্রদিনতোর্গ’ থেকে দুই লাখ মেট্রিক টন গম আমদানি করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ মে রাশিয়ান সরকারি সংস্থা চলতি (২০২০-২০২১) অর্থবছরেও গম বিক্রির বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে সরকারকে চিঠি দেয়। ওই চিঠি পাওয়ার পর জি-টু-জি পদ্ধতিতে গম কেনার জন্য ‘ফরেন ইকোনমিক কো-অপারেশন প্রদিনতোর্গ’-এর প্রতিনিধি দলকে ভার্চুয়াল সভায় অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এরপর গত ৮ জুলাই রাশিয়ান প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বাংলাদেশের জি-টু-জি পদ্ধতিতে ক্রয় বিষয়ক কমিটির ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় গম আমদানির জন্য চুক্তির শর্ত ও দাম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। তবে, আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় সভা মুলতবি ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে গত ৪ আগস্ট আবারও ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় রাশিয়ান ফেডারেশন থেকে প্রতি মেট্রিক টন ২৫৮ মার্কিন ডলার ধরে দুই লাখ মেট্রিক টন গম বাংলাদেশকে দেয়ার বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছায় উভয় পক্ষ। এরপরই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।