মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে চাকরি দেয়ার নামে ১৬ লাখ টাকা নেয়ার অভিযোগ

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর সদর উপজেলার মাহিদিয়া সম্মিলনী আলিম মাদ্রাসার সুপার মাওলানা ফারুক হুসাইনের বিরুদ্ধে চাকরি দেয়ার নাম করে ১৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল যশোর প্রেসকাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী মাহাবুবুর রহমান এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাহবুবুর জামান বলেন, মাহিদিয়া সম্মিলনী আলিম মাদরাসায় রাষ্ট্র বিজ্ঞানের প্রভাষক পদে ২০১৫ সালের ২০ ডিসেম্বর তাকে নিয়োগ দেন সুপার মাওলানা মো. ফারুক হুসাইন। এর আগে ২০১৩ সালে তাকে মৌখিকভবে প্রভাষক হিসেবে চাকরি দেয়া হয়েছিল। সে মোতাবেক বিনা বেতনে শিক্ষকতা করে আসছিলেন তিনি। মাহাবুবুর রহমান বলেন, সেখানে চাকরি দেয়ার জন্য তার কাছ থেকে ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর ৫ জন সাক্ষীর উপস্থিতিতে ১০ লাখ টাকা, ২০১৪ সালের ১ এপ্রিল ৪ লাখ টাকা ও ২০১৭ সালের ১৭ মে ২ লাখ টাকা সর্বমোট ১৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন সুপার মাওলানা মো. ফারুক হুসাইন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, নিয়োগ কমিটির, ম্যানেজিং কমিটি এবং মাদ্রাসা উন্নয়নের কথা বলে সুপার এ টাকা গ্রহণ করেন। টাকা দেয়ার প্রমাণপত্র রেখে দেন মাহবুবুর জামান। তিনি বলেন, জমিজমা, সহায় সম্বল বিক্রি করে ওই টাকা দিয়ে তিনি নিস্ব হয়ে পড়েছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চাকরি স্থায়ী হয়নি তার। মাদ্রাসা সুপার ফারুক হুসাইন মোটা অংকের টাকা উৎকোচ নিয়ে তার স্থলে শারমিন আক্তার নামে এক মহিলাকে চাকরি দিয়েছেন। তখন মাহাবুবুরজামানকে টাকাও দিচ্ছে না আবার চাকরিও দিচ্ছেন না। টাকা চাইলে আজ দেবো, কাল দেবো বলে ঘোরাচ্ছেন। গত ৪ মাস ধরে এভাবে কালক্ষেপন করছেন মাওলানা ফারুক হুসাইন। সংবাদ সম্মেলনে মাহাবুবুর জামানের স্ত্রী, শিশুপুত্রসহ প্রতিবেশীরা উপস্থিত ছিলেন। এ ব্যাপারে মাদরাসার সুপার মাওলানা ফারুক হুসাইনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তার কাছ থেকে আমি কোন টাকা নেয়নি। টাকা নিলে তার বোনাই নিয়েছে। তার নিয়োগও আমি দেয়নি। কারণ মাহাবুবুর রহমানের কোন নিবন্ধন নেই। সরকারি নিদের্শনা মোতাবেক শিক্ষক নিবন্ধন লাগবে। নিবন্ধন আনলে চাকরি দেয়া হবে।