স্টাফ রিপোর্টার ॥ আজ যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা চালু হচ্ছে না। ডেডিকেটেড হাসপাতাল জিডিএল এ হাসপাতালে স্থানান্তরের কথা থাকলেও এখনো প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়নি। স্থান পরিবর্তনের জন্যে আরও এক সপ্তাহ সময় নেয়া হয়েছে। সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে হাসপতালটি স্থানান্তর করা হতে পারে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মো. তমিজ উল- ইসলাম খান গতকাল দুপুরে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নির্মিত ডেডিকেটেড ওয়ার্ড পরিদর্শনে যান। পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। জেলা প্রশাসক বলেন, বেসরকারি হাসপাতাল জিডিযএল থেকে ডেডিকেটেড হাসপাতাল ১ সেপ্টেম্বর যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। কিন্তু তা আপাতত হচ্ছে না। কিছু কাজ বাকি আছে। বেডের ফ্রেম রং করা হনি। কিছু কাজ বাকি রয়েছে। এ কাজ সম্পন্ন করার জন্য এক সপ্তাহ সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। এরপর জিডিএল থেকে রোগী যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে। দুপুরে তিনি যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে যযান এবং হাসপাতালের উত্তরপাশে তৃতীয়তলায় অবস্থিত সাবেক মহিলা পেয়িং ও গাইনি ওয়ার্ডে পরিদর্শন করেন। ৪০ বেড বিশিষ্ট কোভিড-১৯ ওয়ার্ড ২ বেডের পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ড, অপারেশন থিয়েটার ও ১০ বেড বশিষ্ট আইসিইড ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন তিনি। পরিদর্শনকালে কাজ সম্পন্ন করার জন্য জেলা প্রশাসক, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায়ের সাথে কথা বলেন। পরে তিনি যশোর করোনারী কেয়ার ইউনিটের ওয়ার্ড ও অক্সিজেন প্লান্ট পরিদর্শন করেন। এ সময় ৩য়তলায় পুরুষ ওয়ার্ডের এসি বন্ধ রাখা হয়েছিল। অক্সিজেন প্লান্টও বন্ধ ছির। অক্সিজেন প্লান্টে স্টার্ট দিলে তা সচল দেখতে পান জেলা প্রশাসক। তখন ডা. দিলীপ কুমার রায় জানান, অক্সিজেন সরবরাহের পাইপে লিক রয়েছে। আগামী সপ্তাহে লোক আসবে। তারপর চালু হবে। সেখান থেকে এ প্লান্টের সংযোগ দেয়া হবে কোভিড-১৯ ওয়ার্ডে। এ সময় যশোরের পুলিশ সুপার মো. আশরাফ হোসেন সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন যশোর প্রেসকাবের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন আরএমও ডা. মো. আরিফ আহমেদ, যশোর মেডিকেল কলেজের এনেসথেসিস্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. এবিএম আহসান হাবিবসহ সরকারি কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।