পরকীয়ায় অবশেষে ধরা,পরিণতি তালাক

0

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ ॥ স্বামী রাজধানী ঢাকায় থাকার সুবাদে স্ত্রী জেসমিন চুটিয়ে প্রেম ও অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে প্রতিবেশী যুবক আকুল মন্ডলের সাথে। অবশেষে ভাতিজার হাতে ধরা পড়ে তালাকপ্রাপ্ত হতে হয়েছে জেসমিনকে। আর প্রেমিক আকুল মন্ডলের ঠাঁই হয়েছে শ্রীঘরে। লম্পট আকুল চাঁদপুর গ্রামের শহিদুল মন্ডলের ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলার চাঁদপুর গ্রামে। এই গ্রামের বাদশা মিয়া চাকরির সুবাদে ঢাকায় থাকতেন। দুই সন্তানের জননী স্ত্রী জেসমিন আক্তার একই গ্রামের আকুল মন্ডলের সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এর আগে ধরা পড়লেও সন্তানদের কথা ভেবে বাদশা মিয়া স্ত্রীকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। গত সোমবার (২৩ আগস্ট) রাত ১১ টার দিকে প্রেমিক আকুল মন্ডল জেসমিনের ঘরে প্রবেশ করে। বাদশার ভাতিজা সাজেদুল ইসলাম বাড়ির কাছেই বসে ফেসবুক চালাচ্ছিল। লম্পট আকুলকে বাড়িতে ঢুকতে দেখে অন্য যুবকদের সাথে নিয়ে তাকে ধরতে চাচার বাড়িতে প্রবেশ করে। টের পেয়ে আকুলকে গোয়ালঘরের মধ্যে একটি বস্তায় ঢুকিয়ে দেয় জেসমিন। সেখান থেকেই আকুলকে পাকড়াও করে মারধর করে হরিণাকুন্ডু পুলিশে সোপর্দ করে জনতা। খবর পেয়ে রাতেই ঢাকা থেকে বাড়ির পথে রওনা দেন বাদশা মিয়া। গতকাল মঙ্গলবার সকালে বাড়ি ফিরে দুই সন্তানের জননী স্ত্রী জেসমিনকে তালাক দিয়ে পিতার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। জেসমিন সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের প্রতাবপুর গ্রামের আবু বকরের মেয়ে। এ ঘটনা নিয়ে চাঁদপুর গ্রামজুড়ে ছিঃ ছিঃ রব উঠেছে।
চাঁদপুর গ্রামের মো. জলিল সেখের ছেলে বাদশা মিয়া জানান, ‘১০/১৫ বছর হলো চাকরির সুবাদে ঢাকায় থাকতে হয়। প্রতি দু’মাস পর পর আমি বাড়িতে আসি। করোনার কারণে একটু কম আসা পড়ে। অতি কষ্টের মধ্যে থেকেও সংসারে কোন অভাব বুঝতে দিইনি। ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই আমি ওর সাথে সংসারটা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু যখন পরিবর্তন হলো না তখন তাকে তালাত দেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না।’
চাঁদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমি সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে তাদের দুটি সন্তানের কথা বিবেচনা করে সংসার টেকানোর জন্য বলি। কিন্তু সম্ভব হয়নি। আমার আসার আগেই কাজী (ম্যারেজ রেজিস্ট্রার) ডেকে স্ত্রী জেসমিনকে তালাক দিয়েছেন বাদশা।’
বাদশার শ^শুর বাক্কা মিয়া বলেন, ‘আমার মেয়েকে জোরপূর্বক তালাক দেওয়া হয়েছে।’
এ ব্যাপারে চরপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের আইসি আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘আকুল মন্ডল নামে একজনকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে এখনও কেউ অভিযোগ করেননি।’