চৌগাছায় সাহিত্যরতেœর স্ত্রী হামিদা আহমদের নামে কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধনের অপেক্ষায়

0

স্টাফ রিপোর্টার চৌগাছা (যশোর) ॥ যশোরের চৌগাছায় এম আহমদ আলী সাহিত্যরতœকে ঘিরে তার জন্মস্থান উপজেলার উত্তর কয়ারপাড়া গ্রামে চলছে নানা উন্নয়ন কর্মকান্ড। এরমধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, কমিউিনিটি ক্লিনিক, হাফেজিয়া মাদ্রাসা, ঈদগাহ মাঠের গেট উল্লেখযোগ্য। ইতোমধ্যে নির্মান কাজ শেষ হয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিকের, উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে। যার নামকরণ করা হয়েছে রতœগর্ভা মা হামিদা আহমদের নামে।
সূত্র জানায়, ১৯০৫ সালে উপজেলার দক্ষিন কয়ারপাড়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন কবি, সাংবাদিক, সাহিত্যিক এম আহমদ আলী সাহিত্যরতœ। তিনি যখন পৃথিবীতে আসেন তখন এ অঞ্চলের চারিদিক ছিল কুসংস্কারে আচ্ছন্ন। সমাজের সেই কুসংস্কারকে ভেঙ্গে তিনি সভ্যতাকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রারপণ চেষ্টা করেন। ঘরে ঘরে পৌছাতে থাকেন শিক্ষার আলো। ওই মহান ব্যক্তির হাতে অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ তৈরী হয়েছে, যার সুফল এখন এলাকার মানুষ ভোগ করছেন। তিনি যে সাংবাদিক, কবি, সাহিত্যিক ছিলেন এমনটি নই, তিনি একাধারে মসজিদের মুয়াজ্জিন, ইমাম, শিক্ষক, কাজীও ছিলেন। সর্বগুনে গুনান্বিত এম আহমদ আলী সাহিত্যতœ ১৯৯১ সালে চলে যান না ফেরার দেশে। মহান এই ব্যক্তির দুই ছেলে সুদুর আমেরিকায় বসবাস করেন। এক ছেলে ড, এম শওকত আলী আমেরিকা লংআইল্যান্ড বিশ^বিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। এম আহমদ আলী সাহিত্যরতœ জীবিত থাকা কালে নানা সম্মামনায় ভূষিত হয়েছেন, এমনকি তিনি মারা যাওয়ার পরও যশোর প্রেসক্লাব, চৌগাছা পাবলিক লাইব্রেরীসহ অনেক প্রতিষ্ঠান তাকে মরোনোত্তর সম্মামনা প্রদান করেন। শুধু তাই না এম আহমদ আলী সাহিত্বরতেœর নামানুসারে সম্পূর্ণ সরকারী ভাবে সড়ক, বাজারের নামকরণ করা হয়েছে। তার পরিবারের সদস্য, গ্রামবাসি ও স্থানীয় গনমাধ্যম কর্মীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এই কাজ গুলো অনেকদুর এগিয়ে গেছে বলে জানান স্থানীয়রা।
এলাকাবাসি জানান, এম আহমদ আলী সাহিত্যরতেœর কর্মকে মানুষের মাঝে বাঁচিয়ে রাখার জন্য তার পরিবারের সদস্যরা অনেক কাজ করেছেন এবং এখনও বেশ কিছু কাজ চলমান আছে। সরকারের সহযোগীতায় এ সব কাজ এগিয়ে চলেছে। এমনই একটি জনকল্যান কাজ হচ্ছে কমিউিনিটি ক্লিনিক নির্মান। রতœগর্ভা হামিদা আহমদের নামনুসারে এই ক্লিনিকের নামকরণ করা হয়েছে। ক্লিনিক তৈরীর জন্য বিনাশর্তে ৮ শতাংশ জমি দান করেছেন ওই পরিবার। বর্তমানে ক্লিনিকের নির্মান কাজ শেষ হয়েছে, এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে। ক্লিনিক চালু হয়ে গেলে গ্রামবাসিসহ এলাকার মানুষ এর সুফল ভোগ করতে পারবেন। স্থানীয়রা আরও জানান, এম আহমদ আলী সমাজ থেকে কুশিক্ষাকে দুর করে সমাজে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে গেছেন। তার অবদান কখনই ভুলার মত নই। দেরিতে হলেও তার নিয়ে নানা কর্মকান্ড শুরু হওয়ায় আমরা অভিভুত। এম আহমদ আলী সাহিত্যরতেœর মত সমাজে যারা এ ধরনের কাজ করে গেছেন এবং যারা এখনও করছেন তাদেরকে এমনি ভাবে সম্মান্বিত করার আহবান জানান এলাকার সচেতন মহল।