শৈলকুপায় অরক্ষিত বাগানে ছাড়া হলো বিষধর গোখরা

0

শৈলকুপা (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা ॥ ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ৪০ টি গোখরার বাচ্চা গ্রামের একটি মেহগনি বাগানে ছেড়ে দিলেন বনবিভাগের এক কর্মচারী। গ্রামের খালের পাশ থেকে বিষধর গোখরার বাচ্চাগুলো ধরেন কেসমত শেখ নামে এক ব্যক্তি। খবর পেয়ে বনবিভাগের প থেকে এক কর্মচারী গোখরার বাচ্চা সংরক্ষিত কোন বনে না ছেড়ে সেখানেই একটি মেহগনি বাগানে ছেড়ে দেন। জানা গেছে, শৈলকুপার সারুটিয়া ইউনিয়নের মৌকুড়ী গ্রামে একটি খালের পাশ থেকে কেসমত শেখ নামের এক ব্যক্তি গত বৃহস্পতিবার মটি খুড়ে একটি বড় ও ৭০ টি গোখরা সাপের বাচ্চা ধরেন। সাপগুলো তিনি নিজের আয়ত্তে রাখেন। এর মধ্যে ৩০টি বাচ্চা মারা যায়। স্থানীয়দের মাধ্যমে বনবিভাগ এ খবর পেয়ে বনবিভাগের শৈলকুপা শাখার এমএলএসএস আয়ূব হোসেনকে পাঠায়। আয়ূব হোসেন এলাকার একটি মেহগনি বাগানে সাপগুলো ছেড়ে দেন। এরপর থেকে এলাকার কোন মানুষ ওই বাগানের পাশে যাচ্ছেন না। গ্রামের কৃষাণী রাজিয়া খাতুন জানান, মাঠের একটি মেহগনি বাগানে ৪০টি বিষধর সাপের বাচ্চা ছেড়ে দেয়ার পর থেকে তারা কেউ ভয়ে মাঠে যাচ্ছেন না। সারুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুন জানান, তার ইউনিয়নে বিষধর সাপ অবমুক্ত করা বন বিভাগের এমন কোন জায়গা নেই। ৪০টি বিষধর সাপ ছেড়ে দেয়ায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। গত বছর একই পরিবারের আপন দুই ভাইসহ ২০ ব্যক্তি সাপের কামড়ে মারা যান বলে তিনি জানান। শৈলকুপা বনবিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, মাঠের জলাশয়ের পাশে ও খালের ধারে সাপ অবমুক্ত করার বিধান রয়েছে। শৈলকুপা বন বিভাগের এমএলএসএস আয়ূব হোসেন জানান, তিনি হুকুমের গোলাম। তার স্যার তাকে মৌকুড়ী গ্রামের মাঠের একটি মেহগনি বাগানে উদ্ধার হওয়া ৪০টি গোখরা সাপের বাচ্চা অবমুক্তের নির্দেশ দেওয়ার পর তিনি তা পালন করেছেন।