যশোর শিক্ষা বোর্ড : যোগদানের প্রথম দিনে চেয়ারম্যানের চমক : ৫ মাসেও দেখেনি আলোর মুখ

0

মাসুদ রানা বাবু ॥ যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোল্লা আমির হোসেন যোগদানের পর নতুন নতুন কার্যক্রম চালু করার ঘোষণা দিলেও কোনটি বাস্তবায়ন হচ্ছে না। বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দৃষ্টি ঘোরানোর জন্যে তিনি এসব কার্যক্রমের ঘোষণা দেন। কিন্তু ওই পর্যন্তই। কোনভাবেই তার বাস্তব প্রতিফলন ঘটছে না। বোর্ড চেয়ারম্যানের এমন কর্মকান্ড রীতিমত হাসি তামাশার বিষয়ে পরিণত হয়েছে। প্রফেসর ড. মোল্লা আমির হোসেন গত ২০ জানুয়ারি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে যোগদান করেন। পরদিন তিনি বেশ একটা আয়োজন করে বোর্ডের সব ধরনের কর্মকান্ডের ডিজিলাইজড সিস্টেমের উদ্বোধন করেন। সেখানে যশোরের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার সাংবাদিকদেরও ডেকেছিলেন। উদ্বোধন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আজ থেকে বোর্ডের সব ধরনের কর্মকান্ড স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে হবে। কোন ফাইল কোন কর্মকর্তা-কর্মচারীর কাছে তিন কার্যদিবসের বেশি থাকবে না। এক্ষেত্রে কোন কর্মকর্তা কর্মচারী তিন কার্যদিবসের মধ্যে যদি ফাইল না ছাড়েন তাহলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেটি চেয়ারম্যানের কাছে চলে আসবে। তখন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীকে এর জন্যে জবাবদিহি করতে হবে। সেই দিনের সেই বক্তব্য যোগদানের ৫ মাস পর অসত্য প্রমাণিত হয়েছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, ম্যানেজিং কমিটি নিষ্পত্তির জন্য গত ৩ ফেব্রুয়ারি ২১৫৮২, ৬ ফেব্রুয়ারি ২১৬২৩, ৯ ফেব্রুয়ারি ২১৬৫৩ ও ২১৬৫২, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২১৮০৯ এবং ১৫ জানুয়ারি ২১৪১৭ নং আইডি থেকে আবেদন জমা পড়ে। চেয়ারম্যানের বক্তব্য অনুযায়ী সবগুলো আবেদন তিন দিনের মধ্য নিষ্পত্তি হওয়ার কথা। কিন্তু আবেদনগুলো সাড়ে চার মাসের অধিক সময় পরও নিষ্পত্তি হয়নি। একটি সূত্র নিশ্চিত করেছেন যে, শুধু ম্যানেজিং কমিটি নিষ্পত্তির আবেদন না, স্বীকৃতি নবায়নের শত শত আবেদনও একইভাবে পড়ে আছে।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বোর্ডের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী বলেছেন, বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোল্লা আমির হোসেন কাউকে না জানিয়ে লোক দেখানো এমন অনেক কাজ করছেন। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোল্লা আমির হোসেন বলেন, ওই আবেদনগুলো আগের সিস্টেমে সাবমিট হয়েছে। অনেক কাগজপত্র ঘাটতি আছে। এ জন্য নিষ্পত্তি হতে দেরি হচ্ছে। নতুন সিস্টেম কোন আবেদনে কাগজপত্রে ঘাটতি থাকলে সাবমিট হবে না। এছাড়া করোনার জন্য আমি অর্ধেক জনবল নিয়ে কাজ করছি। যে কারণে অনেক কাজ ঠিকঠাকভাবে করতে পারছি না।