ঝিকরগাছায় অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের অভিযোগ

0

ঝিকরগাছা (যশোর) সংবাদদাতা ॥ যশোর ঝিকরগাছার পল্লীতে সরকারি ভেড়িবাঁধ ও রাস্তার পাশ থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের ঘটনায় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগের অনুলিপি দেয়া হয়েছে ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ঝিকরগাছা প্রেসকাবে। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ঝিকরগাছা উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের খাঁসখালী গ্রাম হতে রাধানগর বাজার পর্যন্ত একটি ভেড়িবাঁধ রাস্তা রয়েছে। ভেড়িবাঁধের উভয় পাশের পানি নিস্কাশনের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক একটি স্লুইজ গেইট করা হয়েছে। এই সংলগ্ন ও ভেড়িবাঁধ রাস্তার পাশদিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পার্শ্ববর্তী শার্শা উপজেলার কেরালখালী গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে মিলন হোসেন মেশিনের মাধ্যমে বালি উত্তোলন করে আসছেন। এছাড়া ভারি ট্রাক্টর দিয়ে বালি বহনের ফলে রাস্তাটি প্রায় এক থেকে দেড় ফুট গর্ত হয়ে গেছে। ফলে ভেড়িবাঁধের ওপর দিয়ে গরুর গাড়ি, ভ্যানসহ সাধারণ মানুষের চলাচলের বেশ অসুবিধা হচ্ছে। এছাড়া কৃষকদের ওই রাস্তা দিয়ে ফসলাদি আনতে সমস্যা হচ্ছে। রাস্তাটি এলজিইডির উন্নয়ন তালিকাভূক্তি রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তাটির উন্নয়নমূলক কাজ শুরু হবে। যে কারণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শিমুলিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার ইসমাইল হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বালি উত্তোলন ও ট্রাক্টর দিয়ে বালি পরিবহনের কারণে ভেড়িবাঁধের রাস্তাসহ তাদের গ্রামের পাকা সড়কও হুমকির মূখে রয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান শফিউদ্দিন বলেন, বালি উত্তোলন বন্ধের জন্য রাঁধারনগর, খাশখালী, শ্রীরামকাঠিসহ বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৫০ জন মানুষের সাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগের কপি তার কাছে দিয়েছেন। তবে এ ব্যাপারে তিনি কোন পদক্ষেপ নেননি বলে জানান। ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমী মজুমদার বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তিনি অবগত নন। তবে যেহেতু জেনেছেন দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান। অভিযুক্ত বালি উত্তোলনকারী মিলন হোসেন জানান, বর্তমানে বালি উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ট্রাক্টর চলাচলের কারণে রাস্তায় কাদামাটি হলে পরিস্কার করে দেয়া হয় বলে জানান তিনি।