আজ থেকে টাকায় করোনা পরীক্ষা

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মহামারী করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ সংক্রমণ সন্দেহে নমুনা পরীক্ষা করতে এসে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে এসে মানুষ হয়রানি হচ্ছে। এদিকে, আজ থেকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালসহ জেলার সকল হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষায় সরকারিভাবে টাকা (ফি) নেয়া হবে।
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, করোনা সন্দেহে রোগী নির্ণয় করার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে রয়েছে ফু-কর্নার। গতকাল ফু-কর্নার থেকে ৫১ জনকে চিকিৎসা দেয়া হলেও সবাই করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিতে পারেনি। হাসপাতালের অন্যান্য স্টাফসহ মোট ৪৭টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে গতকাল। ফলে, অনেকে নমুনা দিতে না পেরে ফিরে গেছেন। সময়মতো নমুনা দিতে না পারার কারণে অনেকে করোনা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন। সবচেয়ে বড় সমস্যয় পড়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন নমুনা দিতে এসে না খেয়ে তাদের কষ্ট পেতে হচ্ছে। সকাল ৮টা থেকে হাসপাতাল চত্বরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে তাদের না খেয়ে। এ অবস্থায় অপেক্ষা করতে করতে তারা আরও অসুস্থ ও দুর্বল হয়ে পড়ছেন। অনেকে আবার ফিরে যাচ্ছেন সময়মতো নমুনা না দিয়ে। সময় শেষ হলে আর নমুনা নেয়া হচ্ছে না। এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সময় না জেনে হাসপাতালে এসে বসে থাকলে তাকে হয়রানি তো হতেই হবে। ডা. দিলীপ কুমার রায় বলেন, সময় দেয়া আছে। সকাল ১০টা হতে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ফরম পূরণ করতে হবে। অনেকে ভুল তথ্য দেয়। যা নিয়ে ল্যাবে সমস্যা হয়। যে সব ঠিক করে ফরম পূরণ করার পর দুপুর সাড়ে ১১টা হতে বেলা ২টার মধ্যে নমুনা নেয়া হচ্ছে। এ কাজে রয়েছে ২ জন লোক। ফরম পূরণ শেষে নমুনা নেয়া সবকিছুই ধীর মস্তিষ্কে করতে হয়। নইলে ভুল হয়ে যায়। একজনের নমুনা চলে যায় অন্যের নামে। এ ধরনের ঘটনা যাতে না হয় সে জন্য দেরিতো একটু হবেই। এতে হয়রানি মনে করলে কিছু করার নেই। তবে চেষ্টা করা হচ্ছে দ্রুত কাজ করার বলে জানান তিনি।
এদিকে, আজ (১ জুলাই) হতে শুরু হচ্ছে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালসহ জেলার সব কয়টি হাসপাতালে ফি নেয়ার মধ্য দিয়ে করোনার নমুনা সংগ্রহ। হাসপাতালে এসে নমুনা দিলে জনপ্রতি ২শ’ টাকা এবং বাসাবাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে হলে জনপ্রতি ৫শ’ টাকা দিতে হবে। সরকারিভাবে এ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। হাসপাতালে এ ব্যাপারে গতকাল নোটিশ ঝুঁলিয়ে দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা. আবু শাহীনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।