ঘটনার পর থেকেই অধরা অভিযুক্তরা : ঝিকরগাছায় মনিরা হত্যা মামলায় তিন বছর পর চার্জশিট

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হত্যাকাণ্ডের ৩ বছর পর যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার সোনাকুড়ের মনিরা খাতুন খুনের মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করেছে সিআইডি পুলিশ। প্রেমিক জাহিদুর রহমানসহ দু’জনকে চার্জশিটে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্ত জাহিদুর রহমান সোনাকুড় গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে। অপর অভিযুক্তের নাম মশিয়ার রহমান। তিনি উপজেলার নোয়ালী গ্রামের মৃত ফকির আলীর ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে সোনাকুড় গ্রামের আব্দুল মালেকের মেয়ে মনিরা খাতুনের নোয়ালী গ্রামের হাসানুর রহমানের সাথে বিয়ে হয়। কিন্তু তাকে এর আগে আসামি জাহিদুর রহমান বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে মনিরাকে বিয়ে করতে না পেরে তাকে নানাভাবে উত্যক্ত করতেন জাহিদুর রহমান। একপর্যায়ে নানা প্রলোভন দেখিয়ে তিনি (জাহিদুর রহমান) তার সাথে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ২০১৭ সালের ১১ মে মনিরা তার স্বামীর বাড়ি থেকে সোনাকুড় গ্রামে পিতার বাড়ি বেড়াতে আসেন। রাতে তিনি ছোট চাচির ঘরে ঘুমাতে যান। এর আগে তিনিসহ চাচি রাশিদা বেগম, ফুফু জাহানারা বেগম, চাচাত ভাই সাইফুল ইসলাম শরবত পান করেন। কিন্তু পরদিন সকালে আরেক চাচি মিতা দেখতে পান ঘরের দরজা খোলা। ভেতরে মেঝের ওপর মনিরা মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন। অন্যরা অচেতন হয়ে আছেন। পরে ওই ঘর থেকে মনিরার হাতে লেখা একটি চিঠি ও জাহিদুরের ম্যানিব্যাগ উদ্ধার করা হয়। এ খবর পেয়ে মনিরার স্বামী হাসানুর শ্বশুর বাড়িতে ছুটে আসেন। এ সময় তিনি সকলকে জানান, মনিরা নগদ ৬ লাখ টাকা ও সোনার সকল অলঙ্কার নিয়ে এসেছেন। এ ঘটনার পর সকলে বুঝতে পারেন, জাহিদুর পরিকল্পিতভাবে মনিরাকে পিতার বাড়িতে নিয়ে এসে কৌশলে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন। হত্যার পর মনিরার টাকা ও সোনার অলঙ্কার নিয়ে পালিয়ে গেছেন। ফলে জাহিদুরের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতানামা আরও একজনকে আসামি করে ঝিকরগাছা থানায় মামলা করেন মনিরার মা নাজমা বেগম। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সিআইডি তদন্তে মনিরা হত্যাকাণ্ডের সাথে জাহিদুর ছাড়াও নোয়ালী গ্রামের মশিয়ারের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পায়। এ কারণে উল্লিখিত ২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়। এদিকে, ঘটনার পর থেকেই পলাতক প্রেমিক জাহিদুর। পুলিশ তাকে তিন বছরে আটক করতে পারেনি।