লোহাগড়ায় তিন খুনের ঘটনায় জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে লাশ নিয়ে মিছিল-সমাবেশ

0

নড়াইল অফিস ॥ নড়াইল লোহাগড়ার কাশিপুর ইউনিয়নের গন্ডব গ্রামে তিন ব্যক্তি খুনের ঘটনায় জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে জেলা শহর ও লোহাগড়ায় লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এ মিছিল-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে নড়াইল জেলা পরিষদ সদস্য সুলতান মাহমুদ বিপ্লবসহ দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বক্তারা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গন্ডব গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে মিরাজ মোল্যার লোকজনের সাথে সুলতান মাহমুদ বিপ্লবের লোকজনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে দু’গ্রুপের লোকজন গত বুধবার বেলা তিনটার দিকে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গন্ডব গ্রামের মিরাজ মোল্যা পক্ষের হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিল মোল্যা (৫২), মোকতার মোল্যা (৬০) ও রফিকুল ইসলাম (৩২) নিহত হন। নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে গতকাল বৃহস্পতিবার ওই তিন জনের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। দুপুরে লোহাগড়া উপজেলা সদরে গ্রামবাসীসহ নিহতের স্বজনরা তিনজনের লাশ কাঁধে নিয়ে ঝাঁড়– মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন লোহাগড়া উপজেলা চেয়ারম্যান সিকদার আব্দুল হান্নান রুনু ও কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মতিয়ার রহমান। সদর হাসপাতাল চত্বরে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গন্ডব গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা ওরফে মোস্ত মোল্যা, জালাল মোল্যা ও বালাম মোল্যা। বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, জেলা পরিষদের সদস্য সুলতান মাহমুদ বিপ্লবের মদদে এই তিন হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। তিনি (সুলতান মাহমুদ বিপ্লব) ঢাকা সিআইডির ফরেনসিক শাখার ডিআইজি শেখ নাজমুল আলমের ভাতিজা। লোহাগড়া থানা পুলিশের ওসি সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান, তিন খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যে ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বক্তব্য নেয়ার জন্য অভিযুক্ত জেলা পরিষদের সদস্য সুলতান মাহমুদ বিপ্লবের মোবাইল ফোনে (০১৯২৬-৫৮৬১৫৪ ও ০১৭৬৫-৬১১১৯০) একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।