হিলি স্থলবন্দর দিয়ে রেলপথে পেঁয়াজ আমদানি

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে টানা সরকারি ছুটি চলছে। একই কারণে ভারতে চলছে টানা লকডাউন। এ দুইয়ের জেরে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দীর্ঘদিন আমদানি-রফতানি বন্ধ ছিল। এখন এ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে রেলপথে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। ফলে কর্মচাঞ্চল্য ফিরতে শুরু করেছে স্থলবন্দরের শ্রমিক, পাইকার ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে।গতকাল সকালে মহারাষ্ট্রের নাসিক থেকে পেঁয়াজের চালান নিয়ে ভারতীয় একটি মালবাহী ট্রেন হিলি রেলস্টেশন প্রবেশ করে। এরপর যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দুপুর নাগাদ ট্রেন থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ খালাস শুরু হয়। আমদানি করা এসব পেঁয়াজ রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হবে।হিলি রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার তপন কুমার চক্রবর্তী বলেন, গতকাল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ভারত থেকে ৪২টি বগিতে পেঁয়াজ নিয়ে একটি মালবাহী ট্রেন হিলি রেলস্টেশনে এসে পৌঁছেয়। পণ্য খালাস শেষে ট্রেনটি দর্শনা বন্দর দিয়ে ভারতে ফিরে যাবে।
স্থানীয় আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশ ও ভারতে সরকারি ছুটি ও লকডাউন চলার কারণে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। এর ফলে দেশের বাজারে সরবরাহ কমায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে সরকারি অনুমতি নিয়ে ভারত থেকে রেলপথে ১ হাজার ৬০০ টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি খুলেছিলাম। মহারাষ্ট্রের নাসিক থেকে ৪২টি ওয়াগনে আমদানি করা এসব পেঁয়াজ হিলি স্টেশনে এসেছে। ভারত থেকে বিরল হয়ে হিলি স্টেশনে আসতে ট্রেনটির নয়দিনের মতো সময় লেগেছে। এ রেলপথে কিছু সংস্কারকাজ করা জরুরি। তাহলে এ পথে ভারত থেকে আরো কম সময়ে ও স্বল্প ব্যয়ে পেঁয়াজ আমদানির করা সম্ভব হবে।তিনি আরো বলেন, মহামারীর মধ্যেও দীর্ঘদিন পর পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ায় দেশের বাজারে পণ্যটির সরবরাহ বাড়বে। ফলে আগের তুলনায় কমে আসবে দাম। ভারত থেকে আমদানি করা এসব পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ২৩-২৭ টাকায় বিক্রি করা হবে।