মনিটরের সামনেই ফ্যাশন ফটোশুট!

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ থমকে যাওয়া বিভিন্ন ক্ষেত্র নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে সময়ের প্রয়োজনেই। ঘরে ল্যাপটপের সামনে বসে অফিসের কাজ তো হচ্ছিলোই বেশ অনেকদিন ধরে। এবার একইভাবে হয়ে গেল ফ্যাশন ফটোশুট! ভাবছেন ভার্চুয়ালি ফটোশুট কীভাবে সম্ভব? ব্যতিক্রমধর্মী এই শুটটির আয়োজন করেছে ফ্যাশন ম্যাগাজিন ‘ক্যানভাস।’ ফটো সিরিজটির নাম ‘ক্যানভাস ফ্যাশনোভেশন বাই আজরা মাহমুদ।’
ম্যাগাজিনটির এক্সিকিউটিভ এডিটর নুজহাত খান বলেন, ‘এই বন্দী সময়ে কীভাবে ফটোশুট করা যায় সেটা নিয়ে আমরা ভাবছিলাম। এমন সময় আজরা মাহমুদ আমাদের সাথে শেয়ার করেন এই আয়ডিয়া। আমরা খুবই উৎসাহ নিয়ে কাজ শুরু করি। ফ্যাশন নির্দেশক ফটোগ্রাফার, মডেল- সবাই একযোগে কাজ করেন মনিটরের সামনে থেকেই।’ মোট সাতটি টিম অংশ নেয় ফটোশুটে, আলাদা আলাদা থিমে। আজরা মাহমুদ ও নুজহাত খানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রতিটি টিমের সঙ্গে ছিলেন ফ্যাশন নির্দেশক, ফটোগ্রাফার ও মডেল। ভার্চুয়াল ফটোশুটের নতুন এই আয়ডিয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন দর্শকরাও।
ক্যানভাসের ফেসবুক পেইজে সিরিজ আকারে প্রকাশিত হচ্ছে ছবিগুলো। প্রতিটি টিমের সঙ্গে লাইভ শোয়ের ব্যবস্থাও থাকছে। নুজহাত জানান, যেহেতু একেবারেই নতুন একটি ধারণা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে, সেহেতু বিভিন্ন ধরনের সমস্যা, সুবিধা-অসুবিধা, ভবিষ্যতে আরও কীভাবে এই ধারণা নিয়ে কাজ করা যায়- এগুলো আলোচনা করতেই এই লাইভ শো। যেহেতু স্ক্রিনের সামনে শুট, কো-অর্ডিনেশনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। মনের মতো শট পেতে আলোকচিত্রীদের কসরত করতে হয়েছে। তবে সবার প্রচেষ্টা ও উচ্ছ্বাসে এসব প্রতিবন্ধকতা খুব সহজেই দূর করা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন নুজহাত খান।
আলোকচিত্রী কৌশিক ইকবাল জানালেন, মাসের শুরুতেই এ ধরনের এক্সপেরিমেন্টাল কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। ঢাকায় বসে শুট করেছেন কানাডায়। এরপর কাজ করেছেন ক্যানভাস ম্যাগাজিনের সঙ্গেও। ‘ভার্চুয়াল ফটোশুট নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে অনেক কাজ হয়েছে। ভোগ, বাজার ম্যাগাজিন এ ধরনের ফটোশুটের আয়োজন করেছিল আরও আগে, যেখানে কাজ করেছেন প্রফেশনাল মডেল ও ফটোগ্রাফাররা। এই মুহূর্তে অনলাইন মার্কেটিংয়ে প্রাণ নিয়ে আসতে পারে এ ধরনের শুট’ বলেন কৌশিক। ভার্চুয়াল শুটে মডেলদের একটু বেশিই পরিশ্রম করতে হয় বলে জানান কৌশিক ইকবাল। কারণ মেকআপ, ড্রেসআপ, লোকেশন এমনকি ক্যামেরা সেটিংটাও তাকেই করতে হয়। তবে প্রতিবন্ধকতা যতই থাকুক, সময়কে থমকে না রেখে এগিয়ে যাওয়ার এই প্রচেষ্টা বেশ আশা জাগানিয়া বলেই মনে করছেন এই ইন্ডাস্ট্রি সংশ্লিষ্টরা।