ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বাগেরহাটে

0

বাগেরহাট সংবাদদাতা ॥ ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাট জুড়ে বুষ্টি হচ্ছে। শুধু বৃষ্টি নয়, কোথাও কোথাও বৃষ্টির সাথে ঝড়ো হাওয়া বইছে। দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বৃষ্টি শুরু হয়। শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জে বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির সাথে ঝড়ো হাওয়া বইছে। বাগেরহাটের নদ-নদীর পানি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সকাল থেকে রোদ থাকলেও হঠাৎ বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে মানুষ দিকবিদিক ছুটোছুটি করছে। মাঠের পাকা ধান ও বাড়ির উঠোনে শুকানোর জন্য রাখা ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছে কৃষক পরিবারগুলো। শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ ও মোংলা উপজেলার ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। সতর্ক সংকেতে ভয়াবহ বার্তা পরিবেশন করায় উপকূলবাসীর মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। মাটি, ছাউনি ও টিনের ঘরের বাসিন্দাদের দুশ্চিন্তা সব থেকে বেশি।
কচুয়া উপজেলার বাসিন্দা রকি শেখ বলেন, ভোরে সূর্য দেখে ধান সিদ্ধ করেছিলাম। সাড়ে সাতটা নাগাদ রোদ ওঠায় সিদ্ধ ধান ওঠোনে রোদে দিয়েছিলাম। রোদের মধ্যেই দুপুরের দিকে বৃষ্টি শুরু হলো। তড়িঘড়ি করে সব ধান ঘরে ওঠাতে পারিনি। কিছু ধান ভিজে গেছে। এছাড়াও অনেক কৃষক শ্রমিক নিয়ে ধান কাটছিলেন মাঠে। এই বৃষ্টিতে মাঠে ধান কাটা কৃষকদের ব্যাপক তি হবে।
শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আছাদুজ্জামান মিলন বলেন, দুপুর থেকেই এখানে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃষ্টির সাথে ঝড়ো হাওয়া বইছে। স্থানীয়দের ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলেছি। ইতোমধ্যে স্থানীয় প্রতিবন্ধী ও বৃদ্ধদের স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়েছি। সতর্কতামূলক মাইকিং চলছে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবেলায় আমরা সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছি। ৪১০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি সুবিধাজনক শিা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আমরা ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে হিসেবে ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছি। এ নিয়ে মোট ৯৭৭টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ৭ লাধিক মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। সার্বিক যোগাযোগ রার জন্য ১০টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৮৪টি মেডিকেল টিম। পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। প্রয়োজনীয় শুকনো খাবারের ব্যবস্থা রেখেছি আমরা।’