মানুষের সেবায় জায়েদ খান

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ২০১৭ সাল থেকে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। দীর্ঘ তিন বছরে সমিতিকে ঢেলে সাজিয়েছেন তিনি। প্রথমে সমিতির কিছু অশিল্পীদের ছাটাই করে নতুন শিল্পীদের যোগ করেছেন তালিকায়। এরপর শিল্পীদের স্বার্থ রক্ষায় নেমেছেন পথে। যৌথ প্রযোজনার নামে যৌথ প্রহতারণার ছবি বন্ধ করেছেন আন্দোলন করে। ওয়ার্ক পারমিট ছাড়া যারা বাংলাদেশে কাজ করতেন তাদের বিতাড়িত করেছেন তিনি। সিনিয়র শিল্পীদের আবার এফডিসিমুখী করার উদ্যোগও নেন তিনি। এখন জায়েদের কারণেই নিয়মিত এফডিসি আসেন ফারুক, সোহেল রানা, আলমগীর, উজ্জল থেকে শুরু করে অনেকে।
জায়েদ বলেন, ‌’সিনিয়ররা আমাদের বটবৃক্ষ। আমাদের অভিভাবক। তারা এফডিসি না আসলে আমরা শিখব কার কাছ থেকে! বেশ কিছুটা অভিমান তাদের ছিল। যার কারণে এফডিসি আসতেন না। আমি সেই অভিমান ভাঙিয়েছি। আবার তারা আমাদের নতুন প্রজন্মকে স্নেহের পরশ দিচ্ছেন। আমি খুব খুশি।’
জায়েদ আগে থেকেই মানব সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। ২০১৮ সালে পিরোজপুর নিজের জন্মস্থানে ‌’সাপোর্ট মানব কল্যাণ সংস্থা’ নামে একটি সংগঠন করেন। এই করোনাকালিন সময়ে সেই সংগঠন থেকে এলাকার মানুষদের পাঁচ দফা সাহায্য করা হয়েছে। নগদ টাকার পাশাপাশি চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্য দিচ্ছেন তিনি। থেমে নেই শিল্পীদের সাহায্যও। করোনায় কোনও শিল্পী আক্রান্ত হলেন কি না প্রতিদিন সেই খোঁজ নেন তিনি। এরমধ্যে অসচ্ছল শিল্পীদের বাড়ি বাড়ি পণ্য পাঠিয়েছেন তিনি। নগদ টাকাও দিয়েছেন অনেক শিল্পীকে।
জায়েদ বলেন, ‌’সরকার লকডাউনের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা সেটা মেনে চলছি। আর তাই শিল্পী সমিতির সদস্যদের সাহায্য নেবার জন্য এফডিসি না ডেকে উল্টো বাড়ি বাড়ি পাঠাচ্ছি। এটা অবশ্য নতুন না। আমি সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই শিল্পীদের বাড়ি ঈদের সময় লুঙ্গি, নগদ টাকা, কোরবানির মাংস পাঠাই। তারা খুশিও হন। যার কারণে পরপর দুই বার আমাকে নির্বাচিত করেছেন। আমি তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ।’
জায়েদ অসুস্থ শিল্পীদের পাশেও দাঁড়ান নিয়মিত। বাবর, জ্যাকি আলমগীর, জামিলুর রহমান শাখা, রেহানা জলি, নূতনসহ অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীর অসুস্থতার কথা শুনে ছুটে যান তিনি। আর্থিক সহযোগিতাও করেছেন অনেককে। সম্প্রতি কণ্ঠশিল্পী আকবর ঘরে খাবার নেই জানালে জায়েদ এক মাসের খাবার ও নগদ অর্থ নিয়ে হাজির হন আকবরের বাসায়।
জায়েদ বলেন, ‌’আমি আজীবন মানুষদের সেবা করে যেতে চাই। কেউ রাত তিন-চারটায় ফোন দিয়েছেন আর আমি ধরিনি এমন উদাহরণ নেই। দিন-রাত চব্বিশ ঘন্টা আমি সবার পাশে থাকতে চাই। আমার বিশ্বাস, আল্লাহ এই চাওয়াকে পূরণ করবেন।’