যবিপ্রবি ল্যাবের টেস্ট রান সফল, আসেনি খুমেকের ফল

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাব পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত করার কাজ শেষ হয়েছে। ইতিমধ্যে একদফা টেস্ট রানও হয়েছে। রবিবার রাতেই আরেক দফা টেস্ট রান করার কথা। এটি সফলভাবে সম্পন্ন হলে আগামীকাল সোমবার থেকে এই ল্যাবে করোনা পরীা হবে। গতকাল রোববার যশোরসহ চার জেলার সিভিল সার্জনদের নমুনা পাঠাতে ইমেইল করা হয়েছে। এদিকে, খুলনা মেডিকেল কলেজ থেকে গতকাল বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত যশোরে কোনো পরীার ফলাফল আসেনি। তা সত্ত্বেও গতকালও ওই ল্যাবে সন্দেহভাজন রোগীদের শরীর থেকে সংগ্রহ করা ৪৩টি নমুনা পাঠানো হয়েছে।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জেনোম সেন্টারের প্রথম টিমের লিডার ড. ইকবাল কবীর জাহিদ বলেন, তিনদিন বন্ধ থাকার পর সোমবার নমুনা পরীার কাজ শুরু করা যাবে বলে তারা খুবই আশাবাদী। শনিবার রাতে প্রথম দফার টেস্ট রান হয়েছে; যাকে ‘সফল’ বলে বর্ণনা করেন ড. জাহিদ। তিনি বলেন, ‘আজ (রবিবার) রাতে দ্বিতীয় দফা টেস্ট রান হবে। এরপর জেল রান দেবো। আশা করছি, পুরো প্রক্রিয়া সফল হবে। ’ তিনি বলেন, আগামীকাল (আজ সোমবার) থেকে যশোর, ঝিনাইদহ, নড়াইল ও মাগুরার সন্দেহভাজন করোনা রোগীদের নমুনা পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর সিভিল সার্জনদের নমুনা পাঠাতে অনুরোধ জানিয়ে ইমেইল করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ড. জাহিদ বলেন, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহের বেশ কিছু নমুনা তাদের হাতে রয়েছে। এই নমুনাগুলোর ফলাফল সোমবার সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জনদের মৌখিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হতে পারে। তবে চুয়াডাঙ্গার এই নমুনাগুলো ঢাকা ঘুরে যশোরে আসেনি। এগুলো সরাসরি চুয়াডাঙ্গা থেকে যশোর পাঠানো হয়েছিল বলে জানান ড. ইকবাল কবীর জাহিদ। এদিকে, যশোর সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত খুলনা মেডিকেল কলেজ থেকে নমুনা পরীার কোনো ফলাফল পাঠানো হয়নি। খুমেকে যশোরের মোট ১২০টি নমুনা রয়েছে। আর গতকাল নতুন করে পাঠানো হয়েছে আরো ৪৩টি। সিভিল সার্জনদের দপ্তর থেকে যে প্রক্রিয়ায় নমুনা পাঠানো হচ্ছে, তা ২৪ ঘণ্টা পর সঠিক ফলাফল নাও দিতে পারে বলে এর আগে জানিয়েছিলেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রো বায়োলজি ডিপার্টমেন্টের সহযোগী অধ্যাপক এবং করোনা পরীার অন্তরবর্তীকালীন সময়ের টিম লিডার ড. সেলিনা আক্তার। গতকাল এই প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে প্রথম টিমের লিডার ড. ইকবাল কবীর জাহিদ বলেন, ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমরা পরীা করতে ব্যর্থ হলে নমুনা ধ্বংস করে ফেলি। অন্য ল্যাবে কী করা হচ্ছে, তা আমি বলতে পারবো না।’ প্রসঙ্গক্রমে তিনি চুয়াডাঙ্গার বেশ কয়েকটি নমুনা দ্বিতীয় দফার পরীায় নেগেটিভ ফল আসার কথাও উল্লেখ করেন।