আসিফ কাজল, ঝিনাইদহ ॥ ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ঢিলেঢালা লকডাউনে বাড়ছে মরণঘাতি করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কা। উপজেলার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে বৃদ্ধি পেয়েছে যানবাহন, হাট-বাজারগুলোতে কোথাও সামাজিক দূরত্ব নির্দেশ মানা হচ্ছে না। এ ছাড়া প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সিএনজি, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, অ্যাম্বুলেন্স যোগে শৈলকুপায় প্রবেশ করছে বহু ব্যক্তি ও পরিবার। ফলে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কা আশঙ্কাজনক ভাবে ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। জানা যায়, শৈলকুপা উপজেলায় ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও বিভাগীয় জেলা শহর থেকে পালিয়ে আসা ৮৪টি পরিবারকে লকডাউন ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন। তারপরও বিভিন্ন ব্যক্তি ও পরিবার লকডাউন না মেনে যেখানে সেখানে ঘুরে বেড়ানোর কারণে অতিমাত্রায় ঝুঁকিতে করোনা সংক্রমণ। অপরদিকে জেলা প্রশাসক ঝিনাইদহ জেলাকে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ ও সংক্রমণ রোধে তৎপর। এ অবস্থায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে মানুষকে ঘরে রাখতে রাজনৈতিক ও পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতায় রাস্তায় যানবাহন এবং হাট-বাজারে মানুষের চলাচল অনেকটা কমে যায়। তবে শৈলকুপা উপজেলা প্রশাসনের তৎপরতা তেমনটি কঠোর হতে দেখা যায়নি। কিন্তু গত দু-তিন দিন যাবৎ উপজেলা প্রশাসনের তৎপরতা কম থাকায় রাস্তায় যানবাহন ও লোকজনের চলাচল বৃদ্ধি পেয়েছে। দুপুর ২টা পর্যন্ত কাঁচাবাজার ও ভোগ্যপণ্যের বাজার খোলা রাখার অনুমতি দেওয়ায় বাজারে তিল ধারনের জায়গা থাকে না। কিন্তু কোথাও মানা হয় না সামাজিক দূরত্ব। ফলে মরণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। শৈলকুপা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম বলেন, মানুষকে ঘরে রাখতে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত। তবে পুলিশি তৎপরতার পাশাপাশি জনসচেতনতা ছাড়া মানুষকে ঘরে রাখা কঠিন। পুলিশ জনসচেতনতা সৃষ্টিতেও কাজ করছে।