ত্রিমুখী চাপে বেকায়দায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ করোনা মোকাবিলায় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব-মেদিনীপুরসহ ৭টি জেলাকে রাখা হয়েছে রেড জোনে। ৯টি জেলাকে ফেলা হয়েছে অরেঞ্জ জোনে। এরপরও থেমে নেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের কটাক্ষ। একদিকে করোনার বিষাক্ত থাবা, অন্যদিকে বিরোধীদের কটূক্তি। এরসঙ্গে যুক্ত হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের চাপ। এই ত্রিমুখী চাপে বেকায়দায় রাজ্য সরকার।
ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে পায় ২০ হাজারে এসে দাঁড়ালো। এর সংখ্যা এখন ১৯ হাজার ৯৮৪। মৃতের সংখ্যা ৬৪০। করোনামুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৮৭০ জন। করেনায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড় যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গেও। গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৭০। মৃত ১৭। এদিকে, পশ্চিমবঙ্গে করোনা যেন মহামারির আকার ধারণ না করে, সেজন্য প্রথম থেকেই তৎপর কেন্দ্রীয় সরকার। কারণ জনসংখ্যার নিরিখে এই রাজ্যে এই ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রবল। করোনা নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২১ এপ্রিল রাজ্যে উপস্থিত কেন্দ্রীয় সরকারের দুই পর্যবেক্ষক দল। বিনা নোটিশে এই রাজ্যে আগমণের কারণে ওদের হতে হয়েছে তৃণমূল সরকারের বাধার সম্মুখীন। প্রতিবাদ জানিয়ে চিঠি ও গেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে, রাজ্যপালের বারংবার অনুরোধেও কোনো কাজ হয়নি। কিন্তু ২২ এপ্রিল (বুধবার) সকালে কেন্দ্রীয় সরকার কাছ থেকে কড়া জানায় চিঠি আসার পরেই ১৮০ ডিগ্রি কোণে ঘুরে গেলো রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দলকে সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে এই সরকার। মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জানালো, পর্যবেক্ষক দল। ছুটিতে পূর্ণ সহযোগিতা করবে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার ও সুপ্রিম কোর্টের আদেশ রাজ্য সরকার কোনোভাবেই লঙ্ঘন করবে না। সব রকম সহযোগিতা পাবে পর্যবেক্ষক দল। রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে কেন্দ্র। পর্যবেক্ষক দল সাতটি জেলা পরিদর্শন করবে। খতিয়ে দেখবে হাসপাতালের অবস্থা। কথা বলবে সাধারণ মানুষের সঙ্গে। তবে তারা কখন কোন জায়গায় যাবেন, তার কোনো আগাম তথ্য রাজ্য সরকারকে জানতে দিচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে পোগনীয়তা রক্ষা করা হচ্ছে। এদিকে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা অভিযোগ তুলছেন, মুখ্যমন্ত্রী তাদের কোনো ‍সুরক্ষাই দিতে পারছেন না। তারা যে পিপিই-কিট ব্যবহার করছেন, সেটাও ত্রুটিপূর্ণ। ফলে করোনার চিকিৎসা করতে গিয়ে তারা নিজেরাই হচ্ছে করোনার আক্রান্ত। বেশিরভাগ সরকারি হাসপাতালগুলোর স্বাস্থ্য পরিষেবা ভেঙে পড়েছে। হাসপাতাল করছে খাঁ খাঁ। এইসব হাসপাতাল খতিয়ে দেখবে পর্যবেক্ষক দল।