লোকসমাজ ডেস্ক॥ অণুজীববিজ্ঞানী বিজন কুমার শীল। স্বল্প মূল্যের করোনাভাইরাস শনাক্তের কিট আবিষ্কার করে সম্প্রতি আলোচিত হয়েছেন। তবে তার কৃতিত্ব আরো আগেই ছড়িয়েছে বিশ্বে। ১৯৯৯ সালে ছাগলের মড়ক ঠেকানোর জন্য পিপিআর ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছিলেন। ২০০৩ সালে সার্স ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিলে সিঙ্গাপুরে ভাইরাসটি দ্রুত নির্ণয়ের পদ্ধতিও উদ্ভাবন করেন তিনি। নিজের ফেইসবুক পেজে গত সপ্তাহে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে দিয়েছেন এক দাওয়াই। যা সহজেই সব ঘরেই হাতের কাছের জিনিস দিয়ে প্রস্তুত করা সম্ভব। তার মতে, আদা (জিঞ্জার) ও লবঙ্গ (কোব) করোনা মোকাবিলায় মোম হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে। তিনি জানান, এ দুটো মসলা একসঙ্গে পিষে তারপর ফুটন্ত গরম পানিতে তা সিদ্ধ করতে হবে। এরপর এর সঙ্গে কিছু চা পাতা দিয়ে ওটা এক কাপ মতো নিয়ে গারগল করে খেতে হবে। দিনে অন্তত তিন-চারবার এক কাপ করে এটা খেতে হবে। তিনি জানান, এর ফলে গলার ভেতরের কোষগুলোতে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে। এতে কোষগুলো শক্তিশালী হবে। কোষগুলোর ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ মতাও বাড়বে। অধিকাংশ েেত্র কোষগুলো সমর্থ হবে কোভিড-১৯ ভাইরাস যদি আক্রমণ করে, তাকে প্রতিরোধ করতে। এর আগে বিজন শীল করোনার সংক্রমণ এড়াতে কমোড ও টয়লেট পরিষ্কারের ওপর জোর দেন। তার মতে, কফ, থু থু ও পায়খানার মাধ্যমে করোনা দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। করোনার রোগী সারিয়ে তুলতে ‘হাইপার ইমিউন থেরাপি’র কথা জানান ফেব্র“য়ারির ১৫ তারিখ। যার প্রয়োগ পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্র, ইরানসহ বিভিন্ন দেশে দেখা যায়। এ থেরাপি অনুযায়ী করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হওয়ার পর তার রক্তরসে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয় তা অসুস্থ ব্যক্তির শরীরে প্রয়োগের মাধ্যমে সুফল আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।