স্টাফ রিপোর্টার,মনিরামপুর(যশোর)॥ এলাকায় আধিপত্য বিস্তরকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার যশোরের মনিরামপুরে মধুপুর বাজারে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে হরিদাসকাটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদকসহ অন্তত: ৮ জন আহত হয়। এর মধ্যে চারজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তবে এদের মধ্যে অবস্থার অবনতি হওয়াই উন্নত চিকিৎসার জন্য ছাত্রলীগ নেতা মুছাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। সংঘর্ষের এ ঘটনায় একে অন্যকে দোষরোপ করেছেন বিবদমান দুই গ্রুপ।
হরিদাসকাটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক আবু মুছা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল আটটার দিকে মধুপুর বাজারে মানিকের দোকানে বসে তিনিসহ ৮/৯ জন গল্প করছিলেন। এ সময় প্রতিপক্ষ আওয়ামীলীগ নেতা বুলবুলের নেতৃত্বে আব্দুল্লাহ, সোহাগ, সবুর, ইকবালসহ ১১/১২ জন লাঠিসোটা ও ধারালো দা নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা প্রতিবাদ করলে উভয় গ্রপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াসহ সংঘর্ষ হয়। এতে মুছা, মানিক, আলিম, হাসানসহ অন্তত: ৮ জন আহত হয়। এর মধ্যে মুছা, মানিক, আলিম এবং হাসনকে উদ্ধারের পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তবে মুছার অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য দুপুরের দিকে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। উপজেলা চেয়ারম্যান জেলা যুব মহিলা লীগ নেত্রী নাজমা খানম জানান, ছাত্রলীগ নেতা মুছার অবস্থার অবনতি হওয়ায় বিকেলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ দিকে আওয়ামীলীগ নেতা বুলবুল আহমেদ তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ঘটনার সময় তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেননা।
হরিদাসকাটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলমগীর হোসেন লিটন জানান, গত ৭ মার্চ উপজেলার মধুপুর বাজারের পাশে বিলের মধ্যে পিকনিক করাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামীলীগের বিবদমান দুই গ্রুপের মধ্যে বিবাদ হয়। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার এক নারী দোহাকোলা গ্রামের আত্বীয়বাড়ি থেকে ফেরার পথে মুছার নেতৃত্বে বখাটেরা তাকে উত্যক্ত করে। এ ছাড়া সম্প্রতি ছাত্রলীগ নেতা মুছা ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা আওয়ামীলীগ নেতা মাদ্রাসা শিক্ষক ইকবাল হোসেনকে একটি তুচ্ছ ঘটনায় বেধড়ক মারপিট করে। মুলত: এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামীলীগের দুইগ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছিল। ওসি(সার্বিক) রফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি।