যশোরে আরও ৩১৩ জন হোম কোয়ারেন্টিনে : চিকিৎসক সেবিকাদের নিরাপত্তা সামগ্রী প্রদান

0

বিএম আসাদ ॥ করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবায় অবশেষে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা, সেবিকা ও কর্মচারীদের নিরাপত্তায় গাউন, মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, চশমা প্রদান করা হয়েছে। বিএমএ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ওয়াল্টন এ সামগ্রী দেন। ডা. ইয়াকুব আলী মোল্লা ব্যক্তিগতভাবে ১শ গাউনের জন্য নিজস্ব তহবিল হতে ৫৩ হাজার টাকা প্রদান করেন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় যশোর জেলায় ৩শ’ ১৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয় ১ হাজার ৬শ’ ৬৭ জন। এর ভেতর ৯৭ জনকে করোনাভাইরাসমুক্ত ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে এ পর্যন্ত ৫ জনকে কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে। তাদের ভেতর ৪ জন ছাড়পত্রও দেয়া হয়েছে। অবস্থা খারাপ থাকায় ৭০ বছর বয়স্ক এক বৃদ্ধকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। তার রক্ত পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকা আইইডিসিআর-এ পাঠানো হয়েছে। যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায় জানিয়েছেন, বুধবার ৩ জন রোগীকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। এদের ভেতর ৭০ বছরের এক বৃদ্ধকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তার অবস্থা গুরুতর। রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) পাঠানো হচ্ছে। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে শনাক্ত হলে তা সাংবাদিকদের জানানো হবে। অপরদিকে, পার্সোনাল প্রকেশন ইকুইভমেন্ট (পিপিই) পোশাক না থাকার কারণে চিকিৎসক, কর্মকর্তা, ইন্টার্ন চিকিৎসক, সেবিকা ও কর্মচারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। করোনাভাইরাস আতঙ্কে তারা ভীত হয়ে রোগীর চিকিৎসা দিতে অনীহা প্রকাশ করেন। বিএমএ, স্বাচিপ ও ওয়াল্টন কোম্পানি গতকাল ১শ’টি গাউন, লিফলেট সাথেও গ্লাভস ও স্যানিটাইজার প্রদান করেন। হাসপাতালের চু প্রজেক্ট থেকে দেয়া হয় ১শ’ ১০টি চশমা। ওয়াল্টন থেকে ৬শ’ মাস্ক প্রদান ও ডা. ইযাকুব আলী মোল্লা নিজস্ব তহবিল থেকে ১শ’ গাউন বাবদ নগদ ৫৩ হাজার টাকা তত্ত্বাবধায়কের হাতে তুলে দেন। পরে তা ইন্টার্ন চিকিৎসক ও সিনিয়র চিকিৎসক এবং কর্মচারীদের মাঝে বিতরণ করা হয়।