করোনা সংক্রমণরোধে বাগেরহাট কারাগারে আইসোলেশন ওয়ার্ড

0

বাগেরহাট সংবাদদাতা ॥ করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে বাগেরহাট জেলা কারাগারে আইসোলেশন ওয়ার্ডসহ নানা প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে কর্তৃপক্ষ। কারা বাউন্ডারিতে কেউ প্রবেশ করতে চাইলে মূলগেট থেকে হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত-মুখ ধুয়ার পর ভেতরে নেয়া হচ্ছে। নানারকম নিয়ম কানুন মেনে কারা অভ্যন্তরে নেওয়া হচ্ছে নতুন আগত বন্দিদের। কারাগারে থাকা বন্দিদের সাথে স্বজনদের দেখা-সাক্ষাতের বিষয়ও সীমিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কারাগারের ভেতরে কোন লোক প্রবেশ করতে আসলে মূলগেট থেকে সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত-মুখ ধুয়ে ভেতরে নেয়া হচ্ছে। নতুন বন্দি আসলে বাইরের পোশাক খুলে নতুন পোশাক এবং মাস্ক দেয়া হচ্ছে। নতুন বন্দিদের কারা অভ্যন্তরে করা আইসোলেশন ওয়ার্ডে নেওয়া হচ্ছে। সেখানে নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পরে অন্য বন্দিদের সাথে থাকার সুযোগ পাবেন। এছাড়া কারাগারে থাকা কোন কয়েদি বা হাজতির সর্দি-কাশি, জ্বর মাথা ব্যথাসহ কোনও উপসর্গ দেখা দিলে তাদের আলাদা থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বন্দিদের ওয়ার্ডের বাইরে যেতে দেয়া হচ্ছে না। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জীবাণুনাশক ছিটানো হচ্ছে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য প্রতি ওয়ার্ডের দরজায় রাখা হয়েছে সাবান ও পানি। বাগেরহাট জেলা কারাগারের জেলর মহিউদ্দিন হায়দার বলেন, ‘কারাগারে বর্তমানে ৬ শ ৯৭ জন বন্দি রয়েছেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে আমরা সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছি। কোন হাজতি বা কয়েদি জেলে আসলে তাকে ১৪ দিন আলাদা ওয়ার্ডে রাখা হচ্ছে। এছাড়া এই পরিস্থিতি চলমান থাকলে হাজতিদের সাথে ১৪ দিন এবং কয়েদিদের সাথে একমাস পর পর তাদের স্বজনরা দেখা করতে পারবেন। কারাবন্দিদের সাথে শুধু তাদের নিকট আত্মীয়রা দেখা করতে পারবেন। তবে এক সাথে দুই-তিনজনের বেশি লোক বন্দিদের সাথে দেখা করতে পারবেন না। তিনি বলেন, বর্তমানে কারাগার থেকে বন্দিদের আদালতে পাঠানো হচ্ছে না। ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই নিয়ম পালন করা হবে। বন্দি আসামিদের করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা করতে সচেতন দৃষ্টি রাখা হচ্ছে।