শিপলু জামান, কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) ॥ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মোবারকগঞ্জ সুগার মিল প্রায় ৩৭৭ কোটি টাকার তি মাথায় নিয়ে শুরু করে ৫০ কোটির বেশি টাকার লোকসান দিয়ে শেষ করলো ২০১৯-২০ আখ মাড়াই মৌসুম। গত দশ বছরের রেকর্ড ভেঙে ব্রেকডাউন ছাড়া মাড়াই সম্পন্ন করেও লোকসান থেকে বের হয়ে আসা সম্ভব হয়নি। এ মৌসুমে আখ মাড়াই হয়েছে ১৩৮৭৭২.৬৮৫ মেট্রিক টন। গড় মাড়াই ১৪৯৩ মেট্রিক টন। যা গত বছরের থেকে ১৭৯ মে. টন বেশি। চিনি উৎপাদনের ল্যমাত্রা ছিলো ৭৬৮৮.০০ মে. টন। উৎপাদন হয়েছে ৭০৬৮.৭০ মে. টন। চিনি আহরণ এর হার ৫.১২%। যা গত মৌসুম থেকে ০.৫৬ % কম। চিনি আহরণ কম হওয়ার কারণ হিসেবে মিলের সিপিএ গৌতম কুমার বলেন, বর্তমানে আখ বীজের মান খারাপ, অদ শ্রমিক দ্বারা কারখানা পরিচালনা, সময়মতো কৃষকদের সার দিতে না পারা ইত্যাদি নানাবিধ সমস্যা রয়েছে।
ইু চাষি সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মন্টু বলেন, এবার কোন ত্রুটি ছাড়া কারখানা চললেও কৃষকদের টাকা না দিতে পারাই সব সাফল্য বিলীন হতে চলেছে। গত ৩০ জানুয়ারির পর থেকে আর কোন কৃষক টাকা পাননি। হেড অফিসে কথা বলেও নির্দিষ্ট কোন তারিখ পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে প্রতিদিন চাষিরা এসে মিলগেটে ভিড় জমাচ্ছেন পাওনা টাকার জন্য, অন্যদিকে কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের মধ্যেও অসন্তোষ বাড়ছে। তাদের মতে, দীর্ঘ দুই মাসের বেশি সময় তারা বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। সংসার চালাতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছেন। আখ চাষি রাকিব হাসান বলেন, প্রথম দিকে টাকা ভালো পেলেও গত এক মাসের অধিক কোন টাকা পাচ্ছি না, টাকা না পাওয়ায় পাওনাদারের টাকা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন কাটাতে হচ্ছে।