পোনা সঙ্কট : পাইকগাছায় চিংড়ি চাষ নিয়ে শঙ্কায় চাষিরা

0

পাইকগাছা (খুলনা) সংবাদদাতা॥ খুলনার পাইকগাছায় চলতি বছর চাহিদার তুলনায় বাগদার পোনা সরবরাহ অপ্রতুল। অন্য বছরের তুলনায় দাম ৩ থেকে ৪ গুণ বেশি হওয়ায় চরম হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন চিংড়ি চাষিরা। কোথাও মিলছে না নদীর পোনা।চৌগাছায় আলমসাধু উল্টে চালক নিহত ফলে হাজার হাজার হেক্টর জমিতে চিংড়ি উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন তারা।
জানা যায়, খুলনার পাইকগাছাসহ দক্ষিণাঞ্চলে আশির দশক থেকে চিংড়ি উৎপাদন হয়ে আসছে। উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১০ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ঘেরের সংখ্যা ৩ হাজার ৯৪০ টি। যার আয়তন ১৭ হাজার ৭৫ হেক্টর। গত বছর ব্যাপক ভাইরাসজনিত কারণে মড়কের পরও ৫ হাজার ৭২০ মেট্রিকটন চিংড়ি উৎপাদন হয়েছে। চলতি বছর বাগদার পোনার ব্যাপক সংকট ও অধিক দামের কারণে অধিকাংশ চিংড়ি ঘেরে অনেকেই পোনা ছাড়তে পারেননি। এছাড়া মে মাস থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত মৎস্য প্রজননজনিত কারণে মাদার আহরণ বন্ধ থাকায় এ বছর চিংড়ি চাষ নিয়ে হতাশায় ভুগছেন চাষিরা। গত বছর ১ হাজার পোনার দাম ছিল ২-৩ শ টাকা, চলতি বছর যার দাম ৯ শ থেকে এক হাজার টাকা।
খুলনা বিভাগীয় পোনা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রয়েল ফিস লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী গোলাম কিবরিয়া রিপন জানান, গত বছরের চেয়ে চলতি বছর ৮০% পোনার সংকট। প্রতিদিন এলাকায় ৭০/৮০ লাখ পোনার চাহিদা থাকলেও সরবরাহ রয়েছে মাত্র ৭ থেকে ৮ লাখ। কক্সবাজার, খুলনা, সাতক্ষীরায় ৮০ টি হ্যাচারির মধ্যে ২৮ টিতে পোনা উৎপাদিত হচ্ছে। নদীতে মিলছে না প্রাকৃতিক উপায়ে বাগদার পোনা। চিংড়ি চাষি হেলাল মৎস্য খামারের স্বত্বাধিকারী মোবারেক সরদার ও সবুজ মৎস্য খামারের স্বত্বাধিকারী ইশতিয়ার রহমান শুভ জানান, বিগত বছরে চিংড়ি ঘেরে একদিনে যে পরিমাণ পোনা ছেড়েছি, এবার ১০ দিনেও সে পরিমাণ পোনা ছাড়তে পারছি না। এভাবে থাকলে আদৌ চিংড়ি চাষ করা সম্ভব হবে না বলে আশঙ্কা করেন তিনি। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস.এম শহিদুল্লাহ জানান, মাদার সংকটের কারণে পোনার সংকট দেখা দিয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি এ সংকট কেটে যাবে।