আকরিক লোহা আমদানি বাড়িয়েছে চীন

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ নভেল করোনাভাইরাসের প্রকোপে চীনের অর্থনীতি অনেকটা ভেঙে পড়েছে। ফলে জ্বালানি তেল ও স্বর্ণসহ দেশটিতে বিভিন্ন ধরনের শিল্প ও কৃষিপণ্যের চাহিদায় নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে। তবে ব্যতিক্রম ঘটেছে আকরিক লোহার ক্ষেত্রে। গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে ব্যবহারিক ধাতুটির চাহিদা চাঙ্গা ছিল। ফলে এ সময় পণ্যটির আমদানি দেড় শতাংশ বাড়িয়েছে দেশটি। খবর রয়টার্স ও ফিন্যান্সিয়াল পোস্ট।
চীনের জেনেরাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে দেশটির সম্মিলিত আকরিক লোহা আমদানি দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি ৬৮ লাখ টন। আগের বছরের একই মাসে আমদানির পরিমাণ ছিল ১৭ কোটি ৪৩ লাখ টন। সে হিসাবে চান্দ্র নববর্ষের ছুটি ও প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসের প্রভাব এড়িয়ে দেশটিতে ধাতব পণ্যটির আমদানি বেড়েছে ২৫ লাখ টন। মূলত চীনের ইস্পাত শিল্পে পণ্যটির চাহিদা বৃদ্ধি এক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করেছে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
ইস্পাত উৎপাদনের অন্যতম প্রধান উপাদান আকরিক লোহা। চীন বিশ্বের শীর্ষ ইস্পাত উৎপাদনকারী দেশ। ধাতুটির মোট বৈশ্বিক উৎপাদনের অর্ধেক উৎপাদন করে দেশটি। সে হিসেবে চীনের আকরিক লোহার চাহিদা অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় বেশি, যা দেশটিকে পণ্যটির শীর্ষ আমদানিকারকে পরিণত করেছে। চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি থেকে চীনে নতুন চান্দ্রবর্ষের জন্য সপ্তাহব্যাপী সরকারি ছুটি শুরু হয়। এ সময় দেশটির ব্যবসায়িক কার্যক্রম অনেকটা শ্লথ হয়ে আসে। এর মধ্যেই শুরু হয় নভেল করোনাভাইরাসের প্রকোপ। ফলে ছুটির মেয়াদ বাড়িয়ে কোনো কোনো প্রদেশে ফেব্রুয়ারির শেষ অবধি নিয়ে যাওয়া হয়। এর পরও দেশটিতে পণ্যটির আমদানি বেড়েছে।
এ পরিস্থিতিতে অভ্যন্তরীণ পরিবহন ব্যবস্থা ভালো না থাকায় চীনের বন্দরগুলোতে আকরিক লোহার মজুদ বাড়তে শুরু করে। ২০২০ সালের শুরু থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশটির বন্দরগুলোতে পণ্যটির মজুদ বেড়ে তিন মাসের সর্বোচ্চে উঠেছে। বর্তমানে দেশটির বন্দরগুলোতে মোট ১৩ কোটি ১১ লাখ টন আকরিক লোহা মজুদ রয়েছে।