অন্য ভাষা শেখাও প্রয়োজন, তবে নিজের ভাষা ভুলে নয় : প্রধানমন্ত্রী

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জীবন-জীবিকার জন্য অন্য ভাষা শেখারও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কিন্তু তাই বলে নিজের ভাষাকে ভুলে নয়। মাতৃভাষার মর্যাদাকে সমুন্নত রাখা এবং দেশের সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে বিশ্বব্যাপী ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘একুশে পদক’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘পৃথিবীতে এখন আর একা একটি দেশ চলতে পারে না, অন্য দেশকে সঙ্গে নিয়েই চলতে হয়। জীবন-জীবিকার জন্য অন্য ভাষা শেখারও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।’ ‘কিন্তু তাই বলে নিজের ভাষাকে ভুলে যাওয়া, নিজের ভাষা বিস্মৃত হওয়া এটা আমাদের জন্য মোটেই ঠিক নয়’ যোগ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন,‘বিভিন্ন কাজে কর্মে অনেককে ঘটনাক্রমে বিদেশে থাকতে হয়। কিন্তু, এই ভাষার মর্যাদাকে সব সময় আমাদের দিয়ে যেতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই একুশ আমাদের শিখিয়েছে মাথা নত না করা। একুশ শিখিয়েছে আত্মমর্যাদাবোধ। … মাতৃভাষা আন্দোলন শুধু মাতৃভাষার জন্য আন্দোলন ছিল না, পান্তরে এটা ছিল স্বাধিকার আদায়ের, স্বাধীনতার আন্দোলন।’ অনুষ্ঠানে ২০২০ সালের একুশে পদক বিজয়ী হিসেবে ২০ ব্যক্তি এবং এক প্রতিষ্ঠানের হাতে সম্মাননা তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদকপ্রাপ্তরা হলেন- ভাষা আন্দোলনে মরহুম আমিনুল ইসলাম বাদশা (মরণোত্তর), শিল্পকলায় (সংগীত) বেগম ডালিয়া নওশিন, শঙ্কর রায় ও মিতা হক, শিল্পকলায় (নৃত্য) মো. গোলাম মোস্তফা খান, শিল্পকলায় (অভিনয়) এম এম মহসীন, শিল্পকলায় (চারুকলা) অধ্যাপক শিল্পী ড. ফরিদা জামান, মুক্তিযুদ্ধে মরহুম হাজি আক্তার সরদার (মরণোত্তর), মরহুম আবদুল জব্বার (মরণোত্তর), মরহুম ডা. আ আ ম মেসবাহুল হক (বাচ্চু ডাক্তার) (মরণোত্তর), সাংবাদিকতায় জাফর ওয়াজেদ (আলী ওয়াজেদ জাফর), গবেষণায় ড. জাহাঙ্গীর আলম, হাফেজ ক্বারী আল্লামা সৈয়দ মোহাম্মদ ছাইফুর রহমান নিজামী শাহ, শিায় অধ্যাপক ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া, অর্থনীতিতে অধ্যাপক ড. শামসুল আলম, সমাজসেবায় সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, ভাষা ও সাহিত্যে ড. নুরুন নবী, মরহুম সিকদার আমিনুল হক (মরণোত্তর) ও কবি,সাহিত্যিক, মুক্তিযোদ্ধা বেগম নাজমুন নেসা পিয়ারি এবং চিকিৎসা েেত্র প্রসূতি মায়ের জীবন রায় সায়েবা’স কীটের উদ্ভাবক অধ্যাপক ডা. সায়েবা আখতার। পাশাপাশি ‘গবেষণা’য় একুশে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট। পদক বিজয়ীরা প্রত্যেকে নিজে এবং মরণোত্তর পদক বিজয়ীদের পে তাদের পুত্র ও কন্যাগণ প্রধানমন্ত্রীর নিকট থেকে পদক গ্রহণ করেন। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের পে পদক গ্রহণ করেন এর মহাপরিচালক ড.ইয়াহিয়া মাহমুদ। বায়ান্ন’র একুশে ফেব্র“য়ারি ভাষা আন্দোলনের শহীদদের মহান আত্মত্যাগ স্মরণে সরকার প্রত বছর বিভিন্ন েেত্র বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এই পুরস্কার দিয়ে আসছে। পুরস্কারপ্রাপ্ত্র প্রত্যেককে ৩ তোলা ওজনের ১৮ ক্যারেট সোনার তৈরি একটি স্বর্ণপদক, পুরস্কারের অর্থের চেক এবং একটি সম্মাননাপত্র প্রদান করা হয়।