অভয়নগরে মহাকাল বিদ্যালয়ে অভিভাবকদের বিক্ষোভ

0

স্টাফ রিপোর্টার, অভয়নগর (যশোর) ॥ যশোরের অভয়নগরে মহাকাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের জমির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের ঘটনায় অধ্যক্ষ এবং সভাপতির পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিক্ষোভ করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এ বিক্ষোভ প্রদর্শিত হয়। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে কঠোর কর্মসূচি ঘোঘণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করেছে কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা যায়, বিক্ষুব্ধ অভিভাবকরা অধ্যক্ষের কক্ষে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ এবং অধ্যক্ষ ও কলেজ পরিচালনা পর্যদের সভাপতির পদত্যাগ দাবি করছেন। সেখানে অভয়নগর থানার পুলিশও উপস্থিত রয়েছে। এ সময় বিক্ষুব্ধ অভিভাবক তাসলিমা বেগম, ফাতেমা বেগম, দুলালী সিংহ, মন্টু ঘোষ, বিউটি বেগম, জাহিদ হাসান, মনোয়ারা বেগম, মহমিনা খাতুনসহ অর্ধশতাধিক অভিভাবক জানান, আমাদের সন্তানকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়েছি শিক্ষা গ্রহণের জন্য, কোন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অংশ গ্রহণের জন্য নয়। স্কুল চলাকালিন সময় গত সোমবার সকালে ওই কলেজের অধ্যক্ষ এবং সভাপতি অভয়নগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মিনারা পারভীন শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনের কথা বলে চেঙ্গুটিয়া বাজারে যশোর-খুলনা মহাসড়কে নিয়ে যান। কিন্তু মানববন্ধন না করিয়ে শিক্ষার্থীদের উস্কে দিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয় চেঙ্গুটিয়া বাজারের ইদ্রিস আলী গাজীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করাসহ কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে আল্টিমেটাম দেয়া হয় সমাবেশ থেকে। পরে অভিভাবকরা ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান গেটের সামনে বিক্ষোভ করেন।
পুলিশের উপস্থিতির কারণ জানতে চাইলে অভয়নগর থানার এসআই মহসীন আলী বলেন, ’শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গোলযোগ হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে এখানে এসেছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে’। নওয়াপাড়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুল গফ্ফার বিশ্বাস বলেন, ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কিছু হলেই বর্তমান সভাপতি মিনারা পারভীন পুলিশ ডেকে মানুষের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করে নিজের ক্ষমতা জাহির করেন। শিক্ষার্থীদের দিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও লুটপাট করা ঠিক হয়নি। শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও লুটপাটের ব্যাপারে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ খান এ মজলিসের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রশ্নটি এড়িয়ে যান। প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মিনারা পারভীনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তেমন কিছু ঘটেনি। একটি পক্ষ নারী-পুরুষ ভাড়া করে এনে অভিভাবক সাজিয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। যে সব অভিভাবক বিক্ষোভ করেছেন তাদের সন্তানরা আমার বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে না। আর শিক্ষার্থীদের দিয়ে কোন মানববন্ধন, হামলা বা ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেনি।