স্টাফ রিপোর্টার ॥ দু’পক্ষের আলেম ও অনুসারীদের ব্যাপক প্রস্তুতির পরও যশোরে আহলে হাদিসের পক্ষে বিপক্ষে বাহাদ হতে পারেনি। শনিবার সকাল ১১টায় চুড়ামনকাঠির ছাতিয়ানতলা আলিম মাদ্রাসা মাঠে এই বাহাছের আয়োজন করা হয়। দু’পক্ষের সংঘাতের আশঙ্কায় পুলিশ ও ইউনয়িন পরিষদের হস্তক্ষেপে শান্তিপূর্ণ আলোচনা ও সমাঝোতার ভিত্তিতে এই আয়োজনের সমাপ্তি ঘটে।
আয়োজক কর্তৃপক্ষ জানান, আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি ছাতিয়ানতলা মাদ্রাসায় আহলে হাদিস অনুসারীদের ওয়াজ মাহফিল বাস্তবায়নের প্রস্তুতি চলছিল এ নিয়ে তাদের সমালোচক আহলুম মুন্নাহজ ওয়াল জামাতের অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ প্রেক্ষাপটে চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুন্নার আয়োজনে দু’পক্ষের আলেমদের বাহাদের আয়োজন করা হয়। শনবার বেলা ১১টায় এই বাহাদ হবার কথা। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দু’পক্ষের ১০ জন করে আলেম বাহাদে অংশ নেবেন। সে অনুযায়ী আহলে হাদিস মতাদর্শের পক্ষে বিপক্ষে ভারত ও বাংলাদেশের র্শীষ স্থানীয় আলেমরা চুড়ামনকাঠিতে আসেন। সাথে আনেন গাড়ি ভর্তি রেফান্সে কিতাব। তাদের বিপুল সংখ্যক অনুসারীও সমবেত হন। ফলে এই বাহাদ সংঘাতময় পরিস্থিতির জন্ম দিতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দেয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে কোতয়ালি থানার ওসি মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি বড় টিম সেখানে যান। বাহাদ শুরুর আগেই স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুন্না ও ওসি মনিরুজ্জামান দু’পক্ষের আলেমদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আলোচনা শেষে উভয় পক্ষে তিনটি বিষয়ে ঐক্যমত পোষণ করেন। বিষয়গুলো হচ্ছে, মুসলমানদের মধ্যে মতভেদ দেখা দেবে,. এমন বক্তব্য কেউ রাখবেন না। প্রয়োজনে ওলামায়ে কেরামদের সাথে ভিন্ন মতের অনুসারীরা বসবেন এবং ৫ তারিখের মাহফিলে বিতর্কিত বক্তব্য এড়িয়ে চলবেন। এ বিষয়ে ঢাকা থেকে আসা আহলে হাসিদ বিরোধী ওলামা মুফতি লুৎফর রহমান ফরায়েজী বলেন, বাহাদ হয়নি। তবে দু’পক্ষের মধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনা হয়েছে। আহলে হাদিসপন্থী শায়খ অহিদুল ইসলাম একই কথার পুনরাবৃত্তি করে বলেন, তারা সব সময় কুরআন হাদিসের কথা বলেন। মুসলমানদের মধ্যে কখনোই অনৈক্য সৃষ্টি করেন না।