চৌগাছায় বেড়েই চলেছে অবৈধ ভ্যান-ইজিবাইক, মানুষ অতিষ্ঠ

0

স্টাফ রিপোর্টার, চৌগাছা (যশোর) ॥ যশোরের চৌগাছা পৌরসভার প্রধান প্রধান সড়কগুলো মোটরচালিত অবৈধ ভ্যান আর ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের দখলে চলে গেছে। দিনের পুরোটা সময় জুড়ে সড়কে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধযান, ঘটছে দুর্ঘটনা। অদক্ষ আর অযোগ্য চালকরা বেপরোয়া গতিতে ছুটছে তো ছুটছেই, বাজানো হচ্ছে যত্রতত্র হর্ন। ফলে চরম অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন পৌরবাসী। এ সব অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে আইনাগত ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।গত ২/৩ বছরে উপজেলা সদরে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও মোটরচালিত ভ্যান কয়েকগুণ বেড়ে গেছে বলে অভিমত স্থানীয়দের। এ সব যানবাহন সহজলভ্য ও ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকায় মানুষ পেশা পরিবর্তন করে রাতারাতি হয়ে যাচ্ছেন চালক। অদক্ষ চালকরা সড়কের কোন নিয়ম কানুন কিছুই জানেন বা বোঝেন না। তারা সড়কে চলছে বেপরোয়া গতিতে। ফলে প্রতিদিনই ঘটছে ছোট খাটো দুর্ঘটনা। সূত্র জানায়, চৌগাছায় দিনকে দিন বেড়েই চলেছে অবৈধ যানবাহন। ব্যক্তি মালিকানা কিংবা ভাড়ায়চালিত এসব ছোট ছোট যানবাহন এক সময় আশির্বাদ হয়ে সড়কে নামলেও এখন তা মানুষের কাছে যেন অভিশাপে রুপ নিয়েছে। একাধিক পথচারী ও সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চৌগাছাতে এমন এক সময় ছিল নিম্নআয়ের মানুষ মাঠসহ নানা কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তারা এখন পেশা পরিবর্তন করে কেউ হয়েছেন ভ্যানচালক কেউবা ইজিবাইক চালক। এর মধ্যে ব্যক্তি মালিকানায় চালকের সংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম। চালকের বড় একটি অংশ ভাড়ায়চালিত যানবাহন নিয়ে সড়কে চালিয়ে বেড়াচ্ছেন। সূত্র বলছে, উপজেলা সদরসহ প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের বিত্তশালী কিংবা বিদেশ ফেরত অনেকে ইজিবাইক ও মোটরচালিত ভ্যান কিনে তা ভাড়ায় সড়কে নামিয়ে দিয়েছেন। এক একজন মালিক ১০-২০ এমনকি অর্ধশত অবৈধ যানবাহনের মালিক। দিন শেষে তারা চালকদের কাছ থেকে হিসেব নিয়ে ফিরছেন বাড়িতে। যে সমস্ত চালকের হাতে এইসব বাহন তুলে দেয়া হচ্ছে তারা কেউ অপ্রাপ্ত বয়সের, কেউ বৃদ্ধ, আবার কেউ ছিলেন কৃষক বা নাপিত। তারা সড়কে এসে কোন নিয়মের বালাই মানছেন না। চলছে অসম প্রতিযোগিতা। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। পেশাদার ভ্যানচালক আব্দুর রশিদ বলেন, প্রায় ১৫ বছর ধরে ভ্যান চালাই, ভাল আয় রোজগার করেছি, এখন আর সেভাবে ভাড়া হয় না। সড়কে কোন দুর্ঘটনায় পড়েছি এমনটি মনে পড়ে না। কিন্তু এখন যাত্রী দেখে মনে হচ্ছে ভ্যান বেশি হয়ে গেছে। নতুন নতুন ভ্যানচালকের কারণে আমরা যারা পুরোনো ভ্যানচালক তারা অসহায় হয়ে পড়েছি’। অবৈধ যানবাহনের নাগাল এখনই টেনে ধরতে না পারলে চরম মূল্য দিতে হবে এমনটিই মনে করছেন উপজেলার সচেতনমহল।