শীতে কাবু জনজীবন

0

লোকসমাজ ডেস্ক ॥ রাজধানীসহ সারা দেশে হঠাৎ করে আবারো শীতের দাপট বেড়েছে। পাল্লা দিয়ে কমছে তাপমাত্রা। দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে চলছে শৈত্যপ্রবাহ। কোথাও সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশা আর হাড় কাঁপানো শীতে জবুথবু গোটা দেশ। কনকনে শীতের কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষ। হঠাৎ করে সারা দেশের এই বৈরী আবহাওয়ার ফলে বিপর্যয় নেমে এসেছে জন জীবনে। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বয়স্ক, শিশু ও ছিন্নমুল মানুষেরা।
রাজধানীবাসী এই শীতে যতটা কাতর, তার চেয়ে অনেক বেশি দুর্ভোগে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষজন। গতকাল শনিবারও রাজধানীসহ সারাদেশে সকালটা ছিল কুয়াশার চাদরে মোড়ানো। সূর্যের মুখ দেখা যায়নি দিনভর। রাত থেকেই বইছে কনকনে ঠান্ডা বাতাস। উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ১৫ই জানুয়ারি থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে। তবে কয়েক দিন পরই আবার বাড়বে শীতের প্রকোপ। পুরো মাসজুড়েই থাকবে শীতের দাপট।
গতকাল সন্ধা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ী আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুস্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা বিকাল পর্যন্ত কোথাও কোথাও অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশের রাতের তাপমাত্রা হ্‌্রাস পেতে পারে। এবং দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার (দুই দিন) আবহায়ওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে সারাদেশের এ অবস্থা সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। আগামী ৫ দিনের পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা কম থাকলে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে ধরা হয়। কনকনে শীতের দাপট চলছে উত্তারাঞ্চলসহ দেশের বিস্তির্ণ অঞ্চলে। গতকাল দেশের সবোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে ২৬ দশমিক ২ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজারহাটে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া চুয়াডাঙ্গায় ৯ দশমিক ৮, রাজশাহীতে ১০ দশমিক ৫, বরিশাল ১২ দশমিক, সিলেট ১২ দশমিক ৪, চট্রগ্রাম ১৪ দশমিক ৬, দিনাজপুর ১০ দশমিক ৮, রংপুর ১১ দশমিক , তেতুঁলিয়া ৯ দশমিক ৯, বদলগাছি ১০ দশমিক ৬, যশোর ১১ দশমিক ২, ইশ্বর্দী ৯ দশমিক ৮,খুলনা ১৩ দশমিক এবং ঢাকা ১৩ দশমিক ৬। আবহাওয়াবিদ ডা. মো. আবুল কালাম মল্লিক জানান, সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ৯ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠা নামা করছে এবং দিনের তাপমাত্রা ১৫ থেকে ২৩ এর মধ্যে উঠা নামা করছে। সুতরাং দেখা যায় যে, দিনে ও রাতের তাপমাত্রায় পার্থক্য কম থাকায় আবহাওয়া আরো কয়েকদিন এভাবে থাকবে। সূর্যের আলো না থাকায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। সোমবার থেকে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রংপুর ও রাজশাহি বিভাগে মৃদু শৈত্য প্রবাহ আসতে পারে।