ভারতে চিনি উৎপাদন পাঁচ বছরের সর্বনিম্নে

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ প্রতি বছরের অক্টোবরে ভারতে চিনি বিপণনবর্ষ শুরু হয়। ২০১৯-২০ বিপণনবর্ষের প্রথম তিন মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) দেশটির মিলগুলোয় সব মিলিয়ে ৭৭ লাখ ৯৫ হাজার টন চিনি উৎপাদিত হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩০ দশমিক ২২ শতাংশ কম। ইন্ডিয়ান সুগার মিলস অ্যাসোসিয়েশন (আইএসএমএ) সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছে। খবর বিজনেস লাইন ও ইকোনমিক টাইমস।
চলতি বিপণন বর্ষের প্রথম তিন মাসের এ উৎপাদন গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। ২০১৪-১৫ বিপণনবর্ষের প্রথম প্রান্তিকে ভারত মোট ৭৪ লাখ ৯৫ হাজার টন চিনি উৎপাদন করেছিল।
আইএসএমএর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ বিপণনবর্ষের একই সময়ে দেশটিতে সব মিলিয়ে ১ কোটি ১১ লাখ ৭২ হাজার টন চিনি উৎপাদিত হয়েছিল। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ উৎপাদনকারী দেশটিতে কৃষিপণ্যটির উৎপাদন কমেছে ৩৩ লাখ ৭৭ হাজার টন।
এ মুহূর্তে ভারতের ৪৩৭টি মিলে আখ মাড়াইয়ের কাজ চলছে। আগের বিপণনবর্ষের একই সময়ে এর সংখ্যা ছিল ৫০৭। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে মিল কমেছে ৭০টি। ভারতে সবচেয়ে বেশি চিনি উৎপাদন হয় মহারাষ্ট্রে। এ বছর রাজ্যটিতে পণ্যটির উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে, যার প্রভাব পড়েছে দেশটির সামগ্রিক উৎপাদনে।
চলতি বিপণনবর্ষের প্রথম প্রান্তিকে মহারাষ্ট্রের ১৩৭টি মিলে মোট ১৬ লাখ ৫০ হাজার টন চিনি উৎপাদিত হয়েছে। আগের বর্ষের একই সময়ে ১৮৭টি মিলে ৪৪ লাখ ৫৭ হাজার টন চিনি উৎপাদন হয়েছিল। শ্রমিক ও আখের সংকটের কারণে রাজ্যের অনেক সুগার মিল বন্ধ হয়ে গেছে।
একই অবস্থা উত্তর প্রদেশ, কর্ণাটকসহ অন্যান্য শীর্ষ চিনি উৎপাদনকারী অঞ্চলেও। গত বর্ষা মৌসুমে ভারি বৃষ্টিপাতের জেরে কর্ণাটক বন্যা কবলিত হয়, যা এ রাজ্যের চিনি উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।