বটিয়াঘাটায় বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে আমন ক্ষেতে কারেন্ট পোকার আক্রমণ : কৃষক দিশেহারা

0

আহসান কবির, বটিয়াঘাটা (খুলনা) ॥ খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায় কারেন্ট পোকার আক্রমণে ক্ষেতের আমন ধান খড়কুটায় পরিণত হয়েছে। এ অবস্থায় কৃষকের মাথায় হাত উঠেছে। ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে সামনের দিনগুলো কিভাবে কাটবে সে চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে।  উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, তাদের শ শ একর জমির চলতি আমন মৌসুমের বিভিন্ন প্রজাতির ধান কারেন্ট পোকা আক্রমণ করে। এসব জমির ধান অল্প সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ খড়কুটায় পরিণত হয়ে গেছে। উপজেলার জলমা, বটিয়াঘাটা, গঙ্গারামপুর, সুরখালী, ভান্ডারকোট, বালিয়াডাঙ্গা ও আমিরপুর ইউনিয়নের মধ্যে রণজিতেরহুলা গ্রামের বাসার মোল্লার ৫ বিঘা, জামাল শেখের ১০ একর, কামালের ৩ একর, গফুরের ১ একর ৫০ শতক, আব্দুল হকের ২ একর, ছাত্তারের ২ একর ৫০ শতক, শিয়ালীডাঙ্গা গ্রামের বায়জিদের ২ একর, ভান্ডারকোট গ্রামের আবু তালেবের ২ একর, মাবুদের ১ একর ৫০ শতক, রফিকের ১ একর, টালিয়ামারা লক্ষ্মীখোলা গ্রামের চঞ্চল কুমার ঘোষের ২ একর, সমীর ঘোষের ২ একর ৫০ শতক, পলাশ ঘোষের ২ একর ৫০ শতক, ব্রজেন ঘোষের ২ একর, মন্টু ঘোষের ৩ একর, সুশান্ত ঘোষের ৩ একর, নান্টু ঘোষের ২ একর লিটন ঘোষের ২ একর, অপূর্ব ঘোষের ২ একর, রায়পুর গ্রামের মিজান মাস্টারের ১ একর, ও আরিফুলের ২ একর ও ধানের সাথে মাছ চাষ ১২ হাজার পিস গলদা সম্পূর্ণ শেষ হয়ে গেছে।
কিসমত ফুলতলা গ্রামের প্রশান্ত মন্ডলের ৩ একর, শাহিন বিশ্বাসের ১ একর ও দেবাশীষ লস্করের ১ একর ৫০ শতক, হেতালবুনিয়া গ্রামের প্রশান্ত কুমার বিশ্বাসের ২.৫০ একর। এসব কৃষকসহ ৭টি ইউনিয়নের জমিতে কারেন্ট পোকার আক্রমণে বিভিন্ন প্রজাতির ধান খড়কুটায় পরিণত হয়েছে এবং মাছ মরে শেষ হয়েছে। ফলে কৃষকরা ঋণের বোঁঝা মাথায় নিয়ে পথ চলতে পারছে না। সেই সাথে আগামী বছর কিভাবে সংসার চালানো ও ঋণ পরিশোধ করবে তা ভাবতেই কৃষকদের মাথা ঘুরে পড়ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামের কৃষকদের কম বেশি জমির ধান কারেন্ট পোকার আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. রবিউল ইসলাম জানান, ১৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমির মধ্যে কৃষকরা স্থানীয় প্রজাতির ধান চাষ করে থাকেন। এর মধ্যে ২২৫ হেক্টর জমিতে ঘুর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর জন্য ক্ষতিসাধিত হয়েছে। এ এলাকায় উপজেলার ধানের জমিতে অতিরিক্ত পানি জমে থাকায় কারেন্ট পোকার আক্রমণ বেশি হয়েছে। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কৃষকদের বার বার সতর্ক করা হয়েছে। কৃষকদের ধানের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি যথাযথ কর্র্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে এবং তাদের জন্য কোন ব্যবস্থা হলে তা তাদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হবে।