কেশবপুরে তীব্র শীতে মানুষ অসহায়, বোরো বীজতলার চারা আক্রান্ত

0

জয়দেব চক্রবর্ত্তী,কেশবপুর (যশোর) ॥ যশোরের কেশবপুরে তীব্র শৈত্য প্রবাহে মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। গত কয়েকদিন ধরে শৈত্য প্রবাহ, দু দিনের বৃষ্টি ও ঘন কুয়াশার কারণে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা থমকে গেছে। ধানের বীজতলার চারা কোল্ড ইনজুরি আক্রান্ত হয়ে পাতা লালাভ বর্ণ ধারণ করেছে। প্রতি দিনই ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশু ও শ্বাসকষ্টের রোগির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে হাসপাতাল ও কিনিকগুলোতে ।
চলতি বছর সরকারি ভাবে কেশবপুর উপজেলায় বোরো ধানের আবাদের ল্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে হাইব্রিড ৬ হাজার হেক্টর। যার ধান উৎপাদনের ল্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪২ হাজার ৯৩০ মেট্রিক টন। অপরদিকে উফশী জাতের ধানের আবাদ করা হবে ৯ হাজার হেক্টর জমিতে। এতে ধান উৎপাদন হবে ৬০ হাজার ৭৫০ মেট্রিক টন। ধান আবাদের ল্েয এ বছর বীজতলা প্রয়োজন হবে উফশী জাতের ৪৫০ হেক্টর এবং হাইব্রিড জাতের ২৪০ হেক্টর। এর মধ্যে ৪৭১ হেক্টর জমিতে বীজতলা ফেলা হয়েছে। এতে ধানের আবাদ করা যাবে ১০ হাজার হেক্টর জমিতে। বাকি ২১৯ হেক্টর জমিতে বীজতলা ফেলা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। চলতি বছর ৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ আদৌ হবে কি-না তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। এর ফলে চলতি বছর কেশবপুরে ধান উৎপাদনের ল্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশংকা রয়েছে। এদিকে সময়কালীন আগাম জাতের যেমন, বিআর-২৮,২৯,৫৮,৫০ ও ৮১ জাতের ধান সময় মত রোপন না করা হলে ধানের উৎপাদন কম হয় বলে কৃষি অফিস জানায়।
কৃষি অফিসের মতে, কেশবপুরে ৬৩ ভাগ কৃষক বিভিন্ন উঁচু জমিতে বীজতলা ফেললেও তাদের অধিকাংশ ধানের তে এখনও পর্যন্ত জলাবদ্ধ পানিতে তলিয়ে আছে। অপরদিকে বিল গরারিয়া,বলধালি, পাঁজিয়া-পাথরা ,বুড়–লি, সারুটিয়া বিল সমূহে পানি সেচ না দেওয়ায় কৃষকরা পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। এরই মধ্যে উঁচু জমিতে তৈরি বীজতলা শৈত্য প্রবাহে কোল্ড ইন্জুুির আক্রান্ত হয়ে পাতা লালচে বর্ণ ধারণ করছে। যা দিয়ে ধান চারা রোপন করা যাবে না। অপরদিকে কেশবপুরের বিল গরালিয়াসহ আশপাশের জমির মালিক ও কৃষকরা অভিযোগ করেছেন, বিল অভ্যন্তরের কৃষি জমিতে তৈরি করা মাছের ঘেরের মালিকরা তাদের চুক্তি অনুযায়ী ঘেরের পানি অপসারণ না করায় এবার বোরো আবাদ হবে না কয়েক শ হেক্টর জমিতে। কৃষকদের প হয়ে কর্ন্দপপুর গ্রামের মুনসুর আলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর বিলের পানি অপসারণের জন্য আবেদন করেছেন।