আন্তর্জাতিক সংবাদ

0

এবার নেচে নেটিজেনদের হৃদয় কাড়লেন রাহুল গান্ধী
লোকসমাজ ডেস্ক ॥ মুসলিমবিদ্বেষী নাগরিকত্ব আইন বাতিলে যখন উত্তাল ভারত, বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে নিরাপত্তা রক্ষী কর্মীরা তখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে দেশটির কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর নাচের দৃশ্য। ভিডিওটি নিজেদের ফেসবুক পেজে আপলোড করে ভারতের সংবাদ সংস্থা এএনআই। আর এরপরই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা গেছে, মাথায় ঐতিহ্যবাহী লাল পাগড়ি বেঁধে, ঢোল পিটিয়ে আদিবাসী সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে নাচে মগ্ন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। অনুষ্ঠান যে তিনি বেশ উপভোগ করছেন তা তার অঙ্গভঙ্গি ও হাস্যজ্জ্বল মুখ দেখেই নিশ্চিত হয়েছেন নেটিজেনরা। ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল এবং দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের দেখা গেছে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে। এএনআই জানিয়েছে, ভারতের ছত্তিশগড়ের রায়পুরে জাতীয় নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী নৃত্য উৎসবের আয়োজন করে। আর সেই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে ওই গোষ্ঠীর সদস্যদের সঙ্গে তাদের ঐতিহ্যবাহী নাচে অংশ নেন রাহুল। এ নিয়ে টুইটও করেছেন রাহুল। তিনি লেখেন, এই অনন্য উত্সব ভারতের সমৃদ্ধ আদিবাসী সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য প্রদর্শন এবং সুরক্ষার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, ভারতের ২৫টি রাজ্য এবং ছয়টি দেশ থেকে মোট ১৩৫০ জনের বেশি মানুষ তিন দিনের এই নৃত্য উৎসবে অংশ নেবেন। এ অনুষ্ঠানে জড়ো হবে ২৯ উপজাতি দল। তারা চারটি নৃত্যের ৪৩ টিরও বেশি শৈলী উপস্থাপনা করবেন। এই উৎসবে কংগ্রেস নেতা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।

ভারতের আরএসএস কে নাৎসি বাহিনীর সঙ্গে তুলনা ইমরানের
লোকসমাজ ডেস্ক ॥ ভারতের রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘকে (আরএসএস) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় গঠিত জার্মানের নাৎসি বাহিনীর সঙ্গে তুলনা করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। শনিবার এক টুইট বার্তায় উর্দুতে তিনি জানান, এখনই বিশ্ব বিষয়টি নিয়ে সচেতন না হলে সামনে গণহত্যা সংগঠিত হবে। টুইট বার্তায় ইমরান খান লেখেন, যে মানসিকতা নিয়ে নাৎসি বাহিনী গঠিত হয়েছিল একই মানসিকতা নিয়ে চলছে আরএসএস। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) ভারতের একটি ডানপন্থী হিন্দু জাতীয়তাবাদী, আধাসামরিক ও বেসরকারী স্বেচ্ছা-সেবক সংগঠন। সম্প্রতি হিন্দু উগ্রবাদী বেশকিছু কার্যক্রমের সঙ্গে এই সংঘটিক সম্পৃক্ততা তীব্র সমালোচনার জন্ম দেয় ভারতীয় মিডিয়া। সেইসঙ্গে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ভারতে চলা সংঘর্ষ ও সহিংসতায় আরএসএস পরবর্তীতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে ধারণা পোষণ করে আসছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।

সিএএ ভারতে ২০ কোটি মুসলিমদের উপর প্রভাব ফেলবে, উদ্বেগ মার্কিন রিপোর্টে
লোকসমাজ ডেস্ক ॥ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ভারতের ২০ কোটি মুসলিম নাগরিকের সার্বিক অবস্থার উপর প্রভাব ফেলবে। মার্কিন কংগ্রেসের থিঙ্কট্যাঙ্ক ‘কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিস (সিআরএস)’-এর সাম্প্রতিক রিপোর্টে এই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। ভারতে সিএএ-র প্রভাব নিয়ে ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে মার্কিন বিদেশ দফতরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিভাগের তদারকি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যালিস ওয়েলসের মন্তব্যও। ভারতের নতুন আইন নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করে অ্যালিস বলেছেন, ‘‘সিএএ-র মতো সামাজিক ইস্যুগুলি যে শুধুই মূল্যবোধকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ব্যাপারে ভারতের আন্তরিকতাকে ক্ষুণ্ণ করবে, তা নয়; ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার দেশগুলিতে আমরা (আমেরিকা) যে মুক্ত ও অবাধ স্বাধীনতার বাতাবরণ তৈরি করতে চাইছি, সেই প্রচেষ্টায় শামিল হওয়ার পথ থেকেও ভারতকে দূরে সরিয়ে দেবে।’’ সরকারি ভাবে মার্কিন কংগ্রেসের রিপোর্ট না হলেও সিআরএস-এর এই রিপোর্ট বানানো হয়েছে কংগ্রেস সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের মতামতের ভিত্তিতেই। মার্কিন কংগ্রেসের থিঙ্কট্যাঙ্কের সাম্প্রতিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারত শুধুই বিদেশি আগ্রাসনকারীদের হাতে লু্ণ্িঠত হয়েছে, এই ভাবেই সে দেশের ইতিহাসটাকে ব্যাখ্যা করতে চাইছেন হিন্দু জাতীয়তাবাদীরা। শুধু এই ভাবেই বিষয়টিকে তাঁরা দেখছেন। দেখাতে চাইছেন। তার ফলে, তাঁরা আধুনিক ভারতের দুই প্রতিষ্ঠাতা জওহরলাল নেহরু ও মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর দর্মনিরপেক্ষতার ভাবাদর্শকেও বাতিল করে দিয়েছেন। রিপোর্টে লেখা হয়েছে, ‘‘বহু বিশেষজ্ঞের ধারণা, দেশের উত্তরোত্তর ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতি থেকে মানুষের নজর অন্য দিকে ঘুরিয়ে রাজনৈতিক সমর্থন ধরে রাখতে বিজেপি সরকার এখন আবেগের উপরেই গুরুত্ব দিচ্ছে। হাতিয়ার করছে ধর্মকে।’’ সূত্র: আনন্দবাজার।

আন্দোলনকারীদের পাকিস্তান চলে যেতে বলল ভারতের পুলিশ
লোকসমাজ ডেস্ক ॥ ভারতের নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে চলা আন্দোলনে উত্তর প্রদেশের এক পুলিশ আন্দোলনকারীদের পাকিস্তান চলে যেতে বললেন। এসময় তিনি আরও বলেন এখানে এসব চলবে না। উপস্থিত মুসলমানদের গালাগালিও করেন তিনি। শুক্রবার ভারতের মুসলিম অধ্যুষিত উত্তর প্রদেশের একটি অঞ্চলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে পুলিশের। সে সময়ে নামাজ পড়ে ফিরে আসা কিছু মুসলিমের হাতে আন্দোলনকারীদের সমর্থনে নীল ও কালো ব্যাজ দেখা যায়। আইনের বিরোধিতাকারীদের শক্ত হাতে দমন করতে প্রথম দিন থেকেই তৎপর ছিল ভারতের পুলিশ। শুধুমাত্র মিরাটেই ছয়জন বিক্ষোভকারী গুলিতে নিহত হয়েছেন যাদিও পুলিশ বলছে তারা নাকি বিক্ষোভে গুলি চালায়নি। জুম্মার নামাজের পরও বিক্ষোভ হয়েছে সেখানে। এর পরই শহরের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় গিয়ে বাসিন্দাদের উদ্দেশে কথা বলেন পুলিশ সুপার অখিলেশ নারায়ণ সিং। ২ মিনিটেরও কম ওই ভিডিওতে অখিলেশ মুসলিমদের উদ্দেশে হিন্দিতে কথা বলেন যার অর্থ দাঁড়ায় এরকম, “কোথায় যাবেন? এই এলাকাটা তো আমি ঠিক করে ফেলব।” উপস্থিত লোকজন নামাজ শেষ করে ফেরার কথা জানালে তিনি আবার বলেন, “সে ঠিক আছে। না হলে আপনাদের যারা কালো আর নীল ব্যাজ পরে আছেন, তাদের পাকিস্তানে চলে যেতে বলুন।” ভিডিওতে দেখা যায় অখিলেশ সিং এবং অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা তারপর এগিয়ে যেতে শুরু করেন। বেশ ক্ষুব্ধ দৃষ্টিতেই অফিসার কমপক্ষে তিনবার ওই মুসলিমদের কাছে ফিরে এসে বলেন, “সব বাড়ির সবাইকে আমি জেলে পুরে দেব।” একেবারে শেষে তাকে বলতে শোনা যায়, “আমি সবাইকে শেষ করে দেব।” ভিডিওর ব্যাপারে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “সেখানে অসামাজিক কিছু মানুষ পাকিস্তানপন্থী বক্তব্য দিচ্ছিলেন। আমরা সবাই ওখানে দেখতে এসেছিলাম কারা কারা পাকিস্তানপন্থী বক্তব্য রাখছে।”