বেনাপোলে ১১টি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার মামলায় ৩ জনের ১৭ বছরের কারাদণ্ড

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চার বছর আগে বেনাপোলে ১১টি পিস্তল, ২২টি ম্যাগজিন, ৫০ রাউন্ড গুলি ও ১৪ কেজি গাঁজাসহ তিন যুবক বিজিবি সদস্যদের হাতে আটক হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার সেই মামলার রায়ে তাদের প্রত্যেককে ১৭ বছর করে কারাদণ্ড প্রদান করেছে আদালত। যশোরের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক সুরাইয়া সাহাব এই রায় প্রদান করেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- বেনাপোল পোর্ট থানাধীন সরবাংহুদা ঈদগাহপাড়ার মৃত ছাবেদ আলীর ছেলে আলমগীর হোসেন, ঘিবা গ্রামের এজোবার বিশ্বাসের ছেলে সাজ্জুল ও সরবাংহুদা খাসপাড়ার শহিদ বিশ্বাসের ছেলে আনারুল ইসলাম।
অতিরিক্ত পিপি আলতাফ হোসেন জানান, রায় ঘোষণার সময় আসামি আলমগীর হোসেন ও আনারুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে বিচারক তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এছাড়া অপর সাজাপ্রাপ্ত আসামি সাজ্জুল পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন বিচারক।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর বিজিবি সদস্যরা গোপন সূত্রে খবর পান, সীমান্ত এলাকা থেকে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ে একদল যুবক বেনাপোলের দিকে আসছেন। এ খবর বিজিবি সদস্যরা মেইন পিলারের একটু দূরে ঘিবা গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিকের পাশে ওঁৎ পেতে থাকেন। এরপর বিকেল তিনটার দিকে ৩ যুবককে তিনটি বস্তা নিয়ে আসতে দেখে তাদের সন্দেহ হয়। তখন বিজিবি সদস্যরা তাদেরকে থামতে সংকেত দিলে তারা পালনোর চেষ্টা করেন। তবে বিজিবি সদস্যরা ধাওয়া করে তাদের আটক করতে সক্ষম হন। পরে তল্লাশি চালিয়ে আলমগীর হোসেনের কাছে থাকা প্লাস্টিকের বস্তা থেকে ১১ টি পিস্তল, ২২টি ম্যাগজিন ও ৫০ রাউন্ড গুলি, আনারুল ইসলামের বস্তা থেকে ৮ কেজি গাঁজা ও সাজ্জুলের বস্তা থেকে আরও ৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় যশোর ব্যাটালিয়ান (৪৯) বিজিবি’র রঘুনাথপুর বিওপির হাবিলদার মিজানুর রহমান বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি মামলা করেন। পরে মামলার তদন্ত শেষে উল্লিখিত ৩ যুবককে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই রোকনুজ্জামান। ওই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালতের বিচারক তাদেরকে উল্লিখিত সাজা প্রদান করেন।